Advertisement
E-Paper

রোহিঙ্গাদের নিয়ে বড় চক্রান্ত: কাদের

আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘মৌলবাদ-বিরোধিতার মৌলিক বিষয়টি আওয়ামি লিগের শিকড়। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর দলকে এই শিকড় থেকে বিচ্যুত হতে দেবেন না, এ বিষয়ে সকলকে নিশ্চিন্ত করতে চাই।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৫৫

রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে উপমহাদেশে অস্থিরতা তৈরির একটি বড়সড় চক্রান্তের খবর বাংলাদেশ সরকারের কাছে রয়েছে। উগ্র মুসলিম এই সম্প্রদায়ের মধ্যে জঙ্গি সংগঠন গড়ে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই তাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্র দিচ্ছে বলে তাঁরা খবর পেয়েছেন— বুধবার কলকাতায় জানালেন বাংলাদেশের শাসক জোটের প্রধান দল আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে পাকিস্তান তৈরির যে চক্রান্ত আইএসআই চালিয়ে যাচ্ছে, এটা তারই অঙ্গ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছে।

তিন দিনের কলকাতা সফরের শেষ দিনে এ বাংলার সাংবাদিক ও বিশিষ্ট জনেদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বাংলাদেশের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী কাদের। তিনি বলেন, ‘‘মৌলবাদী ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভারত ও বাংলাদেশ হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছে। এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’’ মৌলবাদী বলে পরিচিত হেফাজতি ইসলামের সঙ্গে বাংলাদেশের আওয়ামি লিগ-জোট সরকারের যোগসাজস নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘‘যেটুকু করা হয়েছে, তা একেবারেই ভোটের দিকে তাকিয়ে। তাদের কিছু দাবি-দাওয়া সরকার মেনে নিয়েছে, এইটুকুই।’’ কাদেরের কথায়, এর আগে স্বৈরশাসক এরশাদের দলের সঙ্গে তাঁদের নির্বাচনী সমঝোতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু এই এরশাদই গণতন্ত্র কায়েম হওয়ার পরে প্রথম নির্বাচনে পাঁচটি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব ক’টিতেই জয়লাভ করেছিলেন। আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘মৌলবাদ-বিরোধিতার মৌলিক বিষয়টি আওয়ামি লিগের শিকড়। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর দলকে এই শিকড় থেকে বিচ্যুত হতে দেবেন না, এ বিষয়ে সকলকে নিশ্চিন্ত করতে চাই।’’

ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ক এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের এ জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘‘মনমোহন সিংহ যে বন্ধুত্বের নীতি নিয়ে এগোচ্ছিলেন, মোদী বাড়তি তৎপরতায় তাকে নতুন উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছেন। ৬৮ বছর ধরে আটকে থাকা স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়িত হয়ে সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়ে গিয়েছে। ছিটমহল বিনিময়ের মতো জটিল কাজ সুষ্ঠু ভাবে শেষ হয়েছে।’’ তাঁর কথায়— তিস্তা চুক্তির বিষয়ে তিনি যে আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষ তার উপরে শতভাগ আস্থা রেখেছে। মঙ্গলবার ‘বিজয় উৎসব’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আর্জি জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘সুব্রতবাবুর মাধ্যমে এই আর্জি আমি প্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে চাই। বাংলাদেশের মানুষ মমতাদিদির মুখের দিকেও তাকিয়ে রয়েছেন। তাঁদের নিরাশ করবেন না।’’

Rohingyas Bangladesh Myanmar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy