শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বেনজির ভাবে বিবৃতি জারি করে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আনে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের ১০ কর্তা-সহ বিচার বিভাগের মোট ২৫ জন কর্মকর্তাকে বদলি করে দিল আইন মন্ত্রক।
বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল মামলার রায় নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম সংখ্যালঘু প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার সিন্হার সঙ্গে কয়েক মাস ধরেই শেখ হাসিনা সরকারের সংঘাত চলছে। প্রাথমিক ভাবে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের পরে সংঘর্ষ-বিরতি ঘটায়। এই পদে সিন্হার মেয়াদ শেষ হচ্ছে জানুয়ারির শেষ দিনে। এ মাসের ৩ তারিখে সিন্হা রাষ্ট্রপতির কাছে এক মাসের ছুটি নেন। তার পরে সেই ছুটির মেয়াদ আরও বাড়িয়ে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া রওনা হন। কিন্তু বলে যান, ১৪ নভেম্বর দেশে ফিরে তিনি ফের কাজ শুরু করবেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে সব চেয়ে সিনিয়র বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন নজিরবিহীন ভাবে বিবৃতি জারি করে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার ও অনিয়মের ১১ দফা অভিযোগ আনে। বিবৃতিতে বলা হয়, আপিল বিভাগের অন্য চার বিচারপতি এই অভিযোগগুলি নিয়ে সিন্হার সঙ্গে কথা বলেও সন্তোষজনক জবাব পাননি। এর পরে তাঁরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কোনও বেঞ্চে না-বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।