উদ্ধার: জঙ্গি পরিবারের দুই শিশু। —নিজস্ব চিত্র।
রবিবারই বাংলাদেশের দু’টি জঙ্গি ডেরায় পুলিশি অভিযানের সময় বিস্ফোরক ফাটিয়ে আত্মহত্যা করেছিল দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। তার তিন-চার দিন কাটতে না কাটতেই সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি।
এ বারের ঘটনাস্থল রাজশাহি জেলার গোদাগাড়ি উপজেলা। অভিযানের সময় বিস্ফোরক ফাটিয়ে আত্মঘাতী হয় সন্দেহভাজন পাঁচ জঙ্গি। তারা একই পরিবারের সদস্য।
এ দিন ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল রাতেই গোদাগাড়ি উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের জঙ্গি ডেরায় অভিযান শুরু হয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল, গ্রামের একটি বাড়িতে আস্তানা গেড়েছে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। সেই খবর পেয়ে রাতেই ওই বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে অভিযানে নামে পুলিশ। জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এর মধ্যেই সকাল আটটা নাগাদ দমকল বাহিনীর একটা দল বাড়িটি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে জল ছেটাচ্ছিল। সেই সময় ওই ডেরা থেকে দুই শিশু-সহ আট জন বেরিয়ে এসে দমকল কর্মীদের উপর বোমা ও বর্শা নিয়ে চড়াও হয়। এক দমকলকর্মীকে কুপিয়ে খুনও করে জঙ্গিরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এর পরেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দেয় তারা। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণের জেরে আহত হয়েছে গোদাগাড়ি থানার সহকারী উপপরিদর্শক উৎপল (৩৫) ও পুলিশ কনস্টেবল তাজুল ইসলাম (৪০)।
গোদাগাড়ি থানার ওসি হিবজুর আলম মুন্সি জানিয়েছেন, ওই বাড়ির মালিক সাজ্জাদ আলি, তার স্ত্রী বেলি, মেয়ে কারিমা এবং দুই ছেলে আলামিন ও শোয়েব। বিস্ফোরণের আগেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসেছিল আট বছর ও তিন মাসের দু’টি শিশু। তাদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে অভিযানের সময় বাড়ির বাইরে মাঠে এক মহিলাকে বসে থাকতে দেখা যায়। জানা যায়, ওই মহিলা সাজ্জাদের আর এক মেয়ে সুমাইয়া। উদ্ধার হওয়া শিশু দু’টির মা। পরে আত্মসমর্পণ করে সে। এই সুমাইয়ার স্বামী জহুরুলের হাত ধরেই সাজ্জাদ জেএমবি-তে নাম লিখিয়েছিল।
এ দিকে, আজ দুপুরে আবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দু’টি বাড়ি ঘিরে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। ওই বাড়িতে ছ’জন আছে বলে ধারণা র্যাবের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy