Advertisement
E-Paper

নির্বাচনে আসছে আরও নতুন নতুন দল, বাংলাদেশে আরও দুশ্চিন্তায় জঙ্গিরা

বাংলাদেশে নির্বিঘ্নে নির্বাচন হলে আরও কাহিল হবে জঙ্গিরা। দিশা খুঁজে পাবে না। ডুবতেই থাকবে। সেই ভয়টাই পাচ্ছে তারা। যেভাবে হোক গণতন্ত্রের শেকড় ধরে টানতে চাইছে। প্রান্তিক জেলায় প্রাণান্তকর প্রয়াস, বেঁচে থাকার। নিজেদের ধ্বংস করে প্রমাণ দিতে চাইছে, আছে কাছে কাছে।

অমিত বসু

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৭ ১৩:৩৭
চলছে ভোটগ্রহণ। ছবি সৌজন্য বাংলা ট্রিবিউন।

চলছে ভোটগ্রহণ। ছবি সৌজন্য বাংলা ট্রিবিউন।

বাংলাদেশে নির্বিঘ্নে নির্বাচন হলে আরও কাহিল হবে জঙ্গিরা। দিশা খুঁজে পাবে না। ডুবতেই থাকবে। সেই ভয়টাই পাচ্ছে তারা। যেভাবে হোক গণতন্ত্রের শেকড় ধরে টানতে চাইছে। প্রান্তিক জেলায় প্রাণান্তকর প্রয়াস, বেঁচে থাকার। নিজেদের ধ্বংস করে প্রমাণ দিতে চাইছে, আছে কাছে কাছে। নিঃশেষে প্রাণ দান করছে বলেই তাদের ভয় নেই। মৃত্যু মদিরা পানে ব্যস্ত জঙ্গিরা। জীবন নয় মরণের নেশা। রাজশাহির গোদাগাড়ি উপজেলার বসন্তপুর গ্রামে গত ১১ মে ৫ জঙ্গি আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা পুরোন কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি। রাজশাহির আম বিদেশ যাচ্ছে। রফতানি হাজার টন ছাড়াবে। বিদেশি মুদ্রা ঘরে আসবে। আম চাষিদের ভাগ্য ফিরবে। ধূসরতার শেষে আলোর রেখা। সেই আমের সুবাসেও মৃত্যুর গন্ধ।

সীমান্ত জেলা বলেই রাজশাহিকে বেছেছে জঙ্গিরা। ভেবেছিল, নিশ্চিন্তে পারাপারে নৈরাজ্য বজায় রাখবে। সেটা আর হচ্ছে না। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কঠোর পাহারায় দেশান্তরী হওয়া অসম্ভব। গোপন আস্তানায় ডেরা বেঁধেও নিস্তার নেই। জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নাজেহাল। ফাঁদে পড়ে মরে বাঁচতে চাইছে। জঙ্গি আস্ফালন বন্ধ। জনপদে আক্রমণ না চালিয়ে নিজেরাই নজরের বাইরে থাকতে চাইছে।

আরও পড়ুন...
ফরমালিন জটিলতা কাটিয়ে আড়াই মাস পর ভারতে মাছ পাঠাল বাংলাদেশ

নির্বাচন কমিশন বসে নেই। নির্বাচনী প্রস্তুতি পুরোদমে। নতুন ভোটার লিস্ট তৈরির তৎপরতা। কোথাও যেন এতটুকু ফাঁক না থাকে। ভুতুরে ভোটারদের জায়গা নেই। স্থানীয় নির্বাচনে ই ভি এম কোথাও কোথাও ব্যবহৃত হলেও, অধিকাংশ জায়গায় ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। ভোট গোনাতে সময় গেছে বেশি। ভোট গ্রহণেও দেরি। ই ভি এমে ভোটের আগ্রহ সে কারণেই। ই ভি এমে ভোটে আপত্তিও উঠছে। অভিযোগ, এতে বোতাম টেপায় কারচুপি হয়। দিল্লির পুর নির্বাচনে সেই অভিযোগ উঠেছে। শাসক দল আম আদমি পার্টি বা আপ-এর দাবি, তারা ষড়যন্ত্রের শিকার। ই ভি এমে জালিয়াতি হয়েছে। সে খবরে ধন্দে বাংলাদেশও।

বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে। বিলম্ব নেই। নির্বাচন কমিশন ভোট সারতে চাইছে, ২০১৮-র ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যে যে কোনও দিন। দিনক্ষণ ঘোষণা হবে নভেম্বরেই। সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯-এর ২৮ জানুয়ারির আগেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। ২০১৪-র নির্বাচনে ভোটের ময়দানে বড় দল বলতে আওয়ামি লিগ একাই ছিল। বি এন পি ভোটে নামেনি। দশম সংসদে তাদের জায়গা হয় নি। সংসদ থেকে দূরত্ব বি এন পি-র শূন্যতা বাড়িয়েছে। নেতা-কর্মীরা সংসদের বাইরেও সংগঠিত ভাবে কোনও আন্দোলন চালাতে পারে নি। বি এন পি ভুল বুঝে এবার সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। বহু নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। পাঁচ মাস সময় আছে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানানোর। স্বীকৃতি পেলে তারা ঠিক করবে একা লড়বে, না কোনও দলের পাশে থাকবে। দল বাড়লে, রাজনৈতিক সক্রিয়তাও বাড়বে। গণতন্ত্র উজ্জ্বল হবে। জঙ্গিপনা জায়গা পাবে কোথায়। ভাবনায় সন্ত্রাসীরা।

Bangladesh Election Democracy Parliamentary Democracy Terrorists Terrorism
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy