E-Paper

সাবধান! হার্টের ইলেকট্রিকাল সমস্যার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে — জানাচ্ছেন হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞরা

‘অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল’-এর সিনিয়র কনসালট্যান্ট ইন্টারভেনশনাল কার্ডিয়োলজিস্ট এবং ইলেকট্রোফিজিয়োলজিস্ট, চিকিৎসক সূচিত মজুমদার এবং কনসালট্যান্ট ইন্টারভেনশনাল কার্ডিয়োলজিস্ট, নবনীল বিশ্বাস হার্টের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে বসেন।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৫৩
হার্টের ইলেকট্রিকাল সমস্যা থেকে সাবধান!

হার্টের ইলেকট্রিকাল সমস্যা থেকে সাবধান!

হার্টের সমস্যার কথা বললেই প্রথমেই যেটা মনে হয় তা হল হার্ট ব্লক, স্টেন্ট, কিন্তু আরও একটি সমস্যা প্রায়শই উপেক্ষা করে যাওয়া হয়। হৃদ্‌পিন্ডে অনেক সময়েই ইলেকট্রিক্যাল সমস্যা হয় যার ফলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটটে পারে।

কিন্তু কী এই হৃদ্‌পিণ্ডের ইলেকট্রিকাল সমস্যা আর তা কী ভাবেই বা হয়?

সম্প্রতি, ‘অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল’-এর সিনিয়র কনসালট্যান্ট ইন্টারভেনশনাল কার্ডিয়োলজিস্ট এবং ইলেকট্রোফিজিয়োলজিস্ট, চিকিৎসক সূচিত মজুমদার এবং কনসালট্যান্ট ইন্টারভেনশনাল কার্ডিয়োলজিস্ট, নবনীল বিশ্বাস এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে বসেন। সেই কথোপকথন ধরা পড়ল আনন্দবাজার ডট কম-এর ক্যামেরায়।

প্রশ্নে চিকিৎসক নবনীল বিশ্বাস এবং তাঁর উত্তর দিচ্ছেন চিকিৎসক সূচিত মজুমদার।

দেখা যায় অল্প বয়সে অনেকেরই বুক ধড়ফড় করে এবং সেটি কখনও কখনও এতো তীব্র আকারে হয় যে অনেকেই তার ফলে অজ্ঞান হয়ে যান।

চিকিৎসক মজুমদার বলেন, “এটিকে অ্যারিথমিয়া বলা হয়। এটি এমন একটি হার্টের অসুখ যেটিকে চিকিৎসা করা যায় এবং এটি সম্পূর্ণ ভাবে সেরে যায়। এই অসুখটি এমন যেখানে একটি ইলেকট্রিকাল যোগাযোগ হৃদ্‌পিণ্ডের সঙ্গে আছে এবং এই যোগাযোগটিকে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি চিকিৎসার দ্বারা আমরা নষ্ট করে দিই। এর ফলে তাদের বুক ধড়ফড় হয় না এবং সারা জীবন ওষুধ খেতে হয় না।”

বিশদে জানতে নীচের ভিডিয়োটি দেখুন:

‘অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল’-এর চিকিৎসক সূচিত মজুমদার এবং নবনীল বিশ্বাস হৃদ্‌পিণ্ডের ইলেকট্রিকাল সমস্যা নিয়ে এক আলোচনায় বসেন

আবার যাঁরা একটু বেশি বয়স্ক তাঁদের অনেকেরই অনেক সময় মাথা ঘুরে যায়, টলমল করেন, অজ্ঞান হয়ে যান। এর কারণও ব্যাখ্যা করলেন চিকিৎসক মজুমদার।

“এর অনেকগুলি কারণ আছে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না। কিছু জীবনশৈলীর পরিবর্তন প্রয়োজন হয়। যাঁরা অজ্ঞান হয়ে যান তাঁদের অন্যান্য চিকিৎসা দরকার হয়। অজ্ঞান হওয়া দু’রকম হতে পারে, একটি হৃদ্‌স্পন্দন কমে যাওয়ার জন্য এবং আর একটি হৃদস্পন্দন খুব বেড়ে যাওয়ার জন্য হতে পারে। যদি হৃদ্‌স্পন্দন খুব কমে যায় তার চিকিৎসায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পেসমেকার লাগে।”

এই হৃদস্পন্দন কমে যাওয়ার কারণও খুঁটিয়ে ব্যাখ্যা করা হয় এবং তারপরই যাঁদের প্রয়োজন হয় তাঁদের পেসমেকার দেওয়া হয়।

এখন প্রায়শই দেখা যায় তরুণ ক্রীড়াবিদ্‌ যাঁদের আগে থেকে কোনও উপসর্গ ছিল না, বুকে ব্যথা এমনকি শ্বাসকষ্টও হয়নি তাঁদের হঠাৎ করেই মৃত্যু হচ্ছে।

“৩৫ বছরের কম যাঁদের বয়স তাঁদের ক্ষেত্রে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কম হয়। যদি না তাঁদের অন্যান্য অসুখ থাকে। তাঁদের যদি ডায়াবেটিস থাকে, যদি স্মোকার হন, সে ক্ষেত্রে তাঁরা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু আমরা অনেক রোগীই এমন পাই যাঁরা এ দু’টির কোনওটিতেই ভুগছেন না, কিন্তু হঠাৎ করেই অজ্ঞান হয়ে পরে মারা গেছেন। এগুলির কারণ ইলেকট্রিকাল সার্কিটের সমস্যা। এটিকে অনেক সময় বলা হয় চ্যানেলোপ্যাথি অর্থাৎ হার্টের যে মেমব্রেন থাকে তার কিছু চ্যানেলের সমস্যা।”

আগে থেকে পরীক্ষা করে এগুলির চিকিৎসা সম্ভব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই মৃত্যুগুলি হৃদ্‌রোগের জন্য নয় বরং ইলেকট্রিকাল সার্কিটের সমস্যার জন্য হয়।

যে কোনও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রশ্নের জন্য, অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করুন:

জরুরি নম্বর: ১০৬৬

হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৪৪২০২১২২

ই-মেইল আইডি: infokolkata@apollohospitals.com

এই প্রতিবেদনটি ‘অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল’-এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

Apollo Hospitals Heart Disease

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy