E-Paper

বিশ্ব ও বাংলাকে একত্রিত করার উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরিত হল ঐতিহাসিক এমওইউ চুক্তি

এই অনুষ্ঠানটি ব্রিটিশ কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত করা হয়েছিল। যার আয়োজক ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অধিকর্তা, দেবাঞ্জন চক্রবর্তী।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪০
ঐতিহাসিক এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষরের দিন  (চিত্র: সংগৃহীত)

ঐতিহাসিক এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষরের দিন (চিত্র: সংগৃহীত)

প্রবাসী বাঙালি এবং বাংলার মধ্যে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করার উদ্দেশ্যে বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন (বিএইচএফ) এবং বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিল (বিবিসি) এক যুগান্তকরী ‘মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ (এমওইউ) চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন ব্রিটিশ কাউন্সিল, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অধিকর্তা, দেবাঞ্জন চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার, অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং। এই চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “কী ভাবে সংস্কৃতি এবং বাণিজ্য একসঙ্গে একটি অর্থবহ প্রভাব তৈরি করতে পারে, তার আদর্শ উদাহরণ হলো এই চুক্তি। আমি এর ইতিবাচক ফলাফল দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।”

চুক্তির মূল স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের বর্তমান সভাপতি ও ট্রাস্টি সুরঞ্জন সোম এবং বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিলের সভাপতি চন্দ্রশেখর ঘোষ।

সুরঞ্জন সোম বলেন, “এমওইউ চুক্তিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ব্যবসার সুযোগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাঙালি প্রবাসীদের একত্রিত করতে সাহায্য করবে। এটি বাংলার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে উদ্‌যাপন করার পাশাপাশি এর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাস্তব করারও একটি পদক্ষেপ।”

চন্দ্রশেখর ঘোষের কথায়, “প্রবাসীদের সাহায্যে আমরা বাংলা ও বিশ্বকে একত্র করতে পারি, যার ফলে ব্যবসায়িক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সাংস্কৃতিক পরিচিতিও রক্ষা করা যাবে।”

দুই সংস্থার প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যেমন - বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস দত্ত, ‘বিএইচএফ ইউকে’-র প্রাক্তন সভাপতি এবং ট্রাস্টি সৌরভ নিয়োগী, পরবর্তী সভাপতি এবং ট্রাস্টি কৌশিক চট্টোপাধ্যায় এবং ‘বিএইচএফ ইউকে’ ক্রিয়েটিভ টিমের প্রতিনিধিরা, জয়দীপ পাল এবং শুভম পাল।

শুভাশিস দত্ত বলেন, “এই ঐতিহাসিক এমওইউ-টি সংস্কৃতি ও বাণিজ্যকে একত্রিত করবে, যা বাংলার ঐতিহ্য উদ্‌যাপনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিকাশকেও প্রভাবিত করবে। বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে একত্রে আমরা এমন উদ্যোগের পথে চলতে চাই, যা বাংলার বৈশ্বিক সংযোগকে যেমন শক্তিশালী করে তুলবে ঠিক তেমনই সাম্প্রদায়িক উন্নতিও সাধন করবে।”

ব্রিটিশ কাউন্সিলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরে গর্বিত দেবাঞ্জন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ব্রিটিশ কাউন্সিল সর্বদা এমন উদ্যোগকে সমর্থন করে, যা সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য উদ্‌যাপন করে। এমওইউ স্বাক্ষরের এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”

এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি একটি নতুন অংশীদারিত্বের সূচনা করল, যা বাংলার ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি এই সম্প্রদায়ের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির দিকেও মনোনিবেশ করবে।

এই অনুষ্ঠানের ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার ছিল আনন্দবাজার অনলাইন।

Bengal Heritage Foundation MOU cultural Economy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy