১৯ এপ্রিল ২০২৪
Education

লক্ষ্য আকাশ ছোঁয়ার, একান্ত সাক্ষাৎকারে বিক্রম দাশগুপ্ত

সেই পথ ধরেই বর্তমানে পূর্ব ভারতে ম্যানেজমেন্ট শিক্ষায় অগ্রগামী হিসেবে নিজেদেরকে তুলে ধরেছে গ্লোবসিন বিজনেস স্কুল।

গ্লোবিসিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান বিক্রম দাশগুপ্ত

গ্লোবিসিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান বিক্রম দাশগুপ্ত

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো
শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:২৩
Share: Save:

পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারি বিজনেস স্কুল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে গ্লোবসিন। সম্প্রতি ২০২২-২০২৪ সেশনে প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থীদের একটি নতুন ব্যাচে অন্তর্ভূক্ত করেছে এই প্রতিষ্ঠান। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? বার বার ব্যবসায়িক শিক্ষার ক্ষেত্রে কেন গ্লোবসিনকেই বেছে নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা? আগামী দিনে এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য কী? এই সমস্ত বিষয় নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে গ্লোবিসিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান বিক্রম দাশগুপ্ত।

প্রায় দুই দশক পূর্বে পথ চলা শুরু করেছিল গ্লোবসিন। প্রাথমিক ব্যাচগুলিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই বিক্রম দাশগুপ্তের নাম, ও খ্যাতির কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। অপর প্রান্তে শুরুর সময় থেকেই গ্লোবসিনের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা ও সুযোগ প্রদান করা। বলা বাহুল্য, প্রথম ৯ বছর সব রকম স্বীকৃতিকে অস্বীকার করে, শুধুমাত্র নিজেদের পাঠ্যক্রমের উপরে ভরসা করে শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল গ্লোবসিন বিজনেস স্কুল।

সেই পথ ধরেই বর্তমানে পূর্ব ভারতে ম্যানেজমেন্ট শিক্ষায় অগ্রগামী হিসেবে নিজেদেরকে তুলে ধরেছে তারা। বিক্রম দাশগুপ্ত বিশ্বাস করেন দক্ষতা এবং সক্ষমতাই শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশ ঘটাতে পারে। সেই বিশ্বাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রথাগত শিক্ষার বাইরেও শিক্ষার্থীদের সক্ষম করে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান। মিঃ দাশগুপ্ত জানাচ্ছেন, “এক জন ম্যানেজারকে সর্বপ্রথম এক জন দায়িত্বশীল ও ভাল মানুষ হতে হবে। যখনই কোনও প্রয়োজন হবে, তখনই তিনি যেন সহায়তা করতে সক্ষম হন।” এই মন্ত্রকে সঙ্গে নিয়েই, শিক্ষার্থীদের বাস্তব প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ধরনের চর্চা করানো হয়, যেখানে তারা ছকে বাঁধা শিক্ষার বাইরে গিয়ে হাতে-কলমে কাজ শেখার সুযোগ পায়। বিক্রম দাশগুপ্ত যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন, তার সব ক’টিতেই শিক্ষার্থীদের বয়স্ক, সুবিধাবঞ্চিত এবং বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে উৎসাহিত করা হয়। জনহিতকর কাজের জন্য তৈরি এই ফাউন্ডেশনের অংশ হিসাবে, মিঃ দাশগুপ্ত সম্প্রতি পূর্ব ভারতের অভিনয় শিল্পীদের জন্য একটি বিশেষ চিকিৎসা বিমা কার্ডের ব্যবস্থাও করেছেন।

বিক্রম দাশগুপ্ত বিশ্বাস করেন যে প্রযুক্তির পরেই ব্যবস্থাপনা আসে। এবং যখন তিনি একজন ম্যানেজার হওয়ার ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন আনার কথা বলেন, তখন তিনি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী মূল্যবোধের উপর জোর দেন। যে মূল্যবোধ আসলে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের শিক্ষারই একটি অংশ। এই ধরনের উদ্যোগগুলি প্রতিষ্ঠানে পাঠরত শিক্ষার্থীদের কেরিয়ার ও ভবিষ্যৎ জীবনকে সমৃদ্ধ করে তোলে। গ্লোবসিন বিজনেস স্কুলের এমন সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে প্রাক্তনীদের আকাশ ছোঁয়ার গল্প আসলে বিক্রম দাশগুপ্তের সুদৃঢ় দৃষ্টিভঙ্গিকেই প্রতিফলিত করে।

এই প্রতিবেদনটি ‘গ্লোবসিন বিজনেস স্কুল’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Education career
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Share this article

CLOSE