ভারতীয় হ্যান্ডবলের জগতে নতুন নজির তৈরি করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। হুগলির চুঁচুড়ার প্রিয়নগরে নেতাজি সুভাষ স্পোর্টস অ্যারেনায় শুরু হল পুরুষদের ৫৪তম জাতীয় হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা ২০২৫ (সিনিয়র)। এই প্রতিযোগিতা চলবে ১৫ থেকে ২০ ডিসেম্বর, যেখানে অংশগ্রহণ করছেন দেশের সেরা হ্যান্ডবল খেলোয়াড়রা।
‘হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’-র উদ্যোগে এবং ‘টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ’-এর সহযোগিতায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশন’। দেশের বিভিন্ন রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, সার্ভিস ও বোর্ডের দলগুলি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। অংশগ্রহণকারী দলগুলির মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, অসম, বিহার, বাংলা, চণ্ডীগড়, ছত্তীসগঢ়, দমন ও দিউ, দিল্লি, গোয়া, গুজরাত, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, কেরল, লাদাখ, লক্ষদ্বীপ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, উড়িষ্যা, পুদুচেরি, পঞ্জাব, রাজস্থান, সিকিম, তামিলনাডু, তেলেঙ্গনা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রেলওয়ে সার্ভিসেস এবং এইচএআই ক্যাম্প অফিস।
চারটি চ্যাম্পিয়নশিপ কোর্টে ম্যাচগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দলগুলিকে আটটি পুলে ভাগ করা হয়েছে, যেখানে প্রতিটি পুলের শীর্ষ দু’টি দল প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। এর পর নকআউট পর্বে নির্ধারিত হবে প্রতিযোগিতায় সেরা। এই প্রতিযোগিতার সেরা আটটি দল মেঘালয়ায় অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল গেমসে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করবে। শুধু তাই নয়, এই প্রতিযোগিতার শেষে খেলোয়াড়দের যোগ্যতা এশিয়ান গেমসের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বিবেচিত হবে।
‘টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সত্যম রায়চৌধুরী বলেন, “আজ আমি খুবই খুশি যে এই ধরনের একটি জাতীয় স্তরের খেলা আমরা চুঁচুড়ায় আয়োজন করতে পেরেছি। এটি আমার জন্মস্থান এবং আমি আশা করি এখানে আরও অনেক বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হওয়ার এটি সূচনা মাত্র।”
‘হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’-র সেক্রেটারি জেনারেল আনন্দেশ্বর পাণ্ডে বলেন, “এত সুন্দর একটি জায়গায় এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “এখানে এত বড় একটি স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি গড়ে ওঠা সত্যিই গর্বের বিষয়। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তার যাত্রা শুরু হওয়াটাও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এর জন্য আমি সত্যম রায়চৌধুরীকে অভিনন্দন জানাই এবং প্রতিযোগিতার সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।”
চন্দননগরের নগরপাল রাম চক্রবর্তী বলেন, “এই ধরনের আয়োজন গোটা অঞ্চলের জন্য গর্বের বিষয়। এই প্রতিযোগিতাকে সফল করে তোলার সঙ্গে যুক্ত সকলকে আমি অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি, এখানে এই স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি গড়ে তোলার জন্য টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপকে বিশেষভাবে অভিনন্দন।”
সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্তও এই প্রতিযোগিতাকে চুঁচুড়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে, চুঁচুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমিত্র ঘোষ খেলোয়াড়দের জন্য শুভেচ্ছা জানান এবং ‘টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ’-এর ধারাবাহিক অগ্রগতি ও সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ’—এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।