E-Paper

হৃদ্‌রোগের চিকিৎসায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ! লিখছেন অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক সুশান মুখোপাধ্যায়

সম্প্রতি এক নতুন আশার আলো দেখিয়েছে ‘কার্ডিয়াক সার্জারি’। অস্ত্রোপচারের কৌশল আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৪
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির একটি হল হৃদ্‌রোগ। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। হৃদ্‌রোগের সমস্যা বৃদ্ধি পেলে সময় মতো চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এই ক্ষেত্রেই সম্প্রতি এক নতুন আশার আলো দেখিয়েছে ‘কার্ডিয়াক সার্জারি’। অস্ত্রোপচারের কৌশল আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। পাশাপাশি, রোগীরাও এখন অনেক বেশি সচেতন। যার ফলে কার্ডিয়াক সার্জারি ক্রমেই নিরাপদ হয়ে উঠছে।

কিন্তু কখন যাওয়া উচিত হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে?

অবিরাম বুকে ব্যথা, তীব্র শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি বা পায়ে ফোলা ভাব থাকলে তৎক্ষণাৎ সাবধান হোন। এগুলি হৃদ্‌রোগের লক্ষণ হতে পারে। এই উপসর্গগুলি উপেক্ষা করলে রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে, যা প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার প্রয়োজনকে অপরিহার্য করে তোলে। ‘করোনারি অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম’ এবং ‘ইকোকার্ডিয়োগ্রাম’-এর মতো পরীক্ষাগুলি হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর ব্লকেজ বা ভাল্‌ভের কার্যকারিতা শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পরীক্ষাগুলি হৃদ্‌রোগের উপসর্গের কারণকে নিশ্চিত করে এবং হার্ট সংক্রান্ত অনেক বড় ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তাকেও চিহ্নিত করে।

অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের কার্ডিয়োথোরাসিক অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারির সিনিয়র কনসালট্যান্ট এবং ডিরেক্টর, চিকিৎসক সুশান মুখোপাধ্যায় বলেন, “আধুনিক কার্ডিয়াক সার্জারির ক্ষেত্রে ন্যূনতম কাটাছেঁড়ার প্রয়োজন হয়। প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা রোগীদের জীবন বাঁচানো এবং সুস্থ জীবন কাটানোও নিশ্চিত করে।”

আধুনিক ‘হার্ট সার্জারি’ অনেক বেশি নিরাপদ এবং সুস্থ হতেও কম সময় লাগে। ন্যূনতম কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে এই অস্ত্রোপচার করা হয়, যার ফলে ব্যথা কম হয়, অস্ত্রোপচারের জায়গায় দাগও কম পড়ে এবং রোগীদেরও দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে থাকতে হয় না। ‘মিনিমালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি’ (এমআইসিএস), অস্ত্রোপচার পরবর্তী ট্রমা কাটাতেও সাহায্য করে।

এই পদ্ধতিতে ‘এমআইসিএস’ নামক বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। যেখানে চিকিৎসকরা ‘ওপেন-হার্ট’ পদ্ধতির পরিবর্তে ছোট অংশ কেটে হার্টের চিকিৎসা করেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে রক্তক্ষরণ কম হয়, সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায় এবং রোগী খুব দ্রুত দৈনন্দিন জীবনে ফিরে যেতে পারেন।

‘ভালভুলার হৃদ্‌রোগ’ ভারতে বিশেষ ভাবে পরিচিত এবং স্বাস্থ্যের উপরেও এটি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ‘অ্যায়োর্টিক স্টেনোসিস’ এবং ‘মাইট্রাল রেগারজ়িটেশন’-এর মতো অবস্থাগুলি প্রায়শই বাতজনিত হৃদ্‌রোগের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব থেকে উদ্ভূত হয়।

‘অ্যায়োর্টিক স্টেনোসিস’-এ ‘অ্যায়োর্টিক ভাল্‌ভ’ সংকীর্ণ হয়ে যায়, যা হার্ট থেকে শরীরের বাকি অংশে রক্তপ্রবাহকে সীমাবদ্ধ করে। ‘মাইট্রাল রেগারজ়িটেশন’ বাম অলিন্দের পিছন দিকে রক্তপাত ঘটায়, যা হৃদ্‌যন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে এই অবস্থার কারণে হৃদ্‌যন্ত্র বিকল হওয়া এবং মৃত্যুর মতো গুরুতর পরিণতি পর্যন্ত হতে পারে।

উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা হৃদ্‌রোগের চিকিৎসায় অগ্রগতি ঘটিয়েছে। কিন্তু সকলের উচিত জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধ করা। সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা এবং তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার এড়ানো হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তথ্যসূত্র: অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের কার্ডিয়োথোরাসিক অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারির সিনিয়র কনস্যালটেন্ট এবং ডিরেক্টর, চিকিৎসক সুশান মুখোপাধ্যায়

যে কোনও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রশ্নের জন্য, অ্যাপোলোতে যোগাযোগ করুন:

জরুরি নং: ১০৬৬

হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৪৪২০২১২২

ই-মেইল আইডি: infokolkata@apollohospitals.com

এই প্রতিবেদনটি ‘অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

Dr. Sushan Mukhopadhyay heart care cardiac care cardiac surgery Revolution Kolkata

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy