E-Paper

গ্রামের অগ্রগতিতেই দেশের উন্নয়ন—মেদিনীপুর জ়োনের গর্বিত নায়কদের সম্মান জানাল ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’

অভিজ্ঞতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং উচ্চমানের ওপর ভর করে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামের উন্নয়নে গ্রাম প্রধানদের এই মহৎ প্রচেষ্টার সঙ্গী হতে বদ্ধপরিকর ‘আল্ট্রাটেক’।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৫ ২৩:৪৮
মেদিনীপুর জ়োন থেকে ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মানে সম্মানিত ২০ জন গ্রাম প্রধান

মেদিনীপুর জ়োন থেকে ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মানে সম্মানিত ২০ জন গ্রাম প্রধান

গ্রাম উন্নয়নের ভিত গড়ে তোলেন পঞ্চায়েত, আর সেই ভিতকে দৃঢ় ও কার্যকর করে তোলেন পঞ্চায়েত প্রধানরা। এঁরাই গ্রামের হাল ধরেন উন্নয়নের আসল কান্ডারি হয়ে। গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন—সব ক্ষেত্রেই প্রধানদের অবদান অনস্বীকার্য। রাস্তাঘাট, সেতু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার, গ্রন্থাগার কিংবা প্রয়োজনীয় শংসাপত্র—সবকিছুতেই প্রধানদের নেতৃত্বে চলছে নিরলস কাজ। এই সমস্ত প্রয়াসের ফলেই আজ গ্রামবাংলার মানুষ পাচ্ছেন উন্নয়নের বাস্তব ছোঁয়া, এবং তাঁদের দৈনন্দিন জীবন হয়ে উঠছে আরও সহজ ও সম্মানজনক।

তাই দেশের এক নম্বর সিমেন্ট ‘আল্ট্রাটেক’ সেই নির্মাণযাত্রায় গ্রাম প্রধানদের পাশে রয়েছেন নিরলসভাবে। অভিজ্ঞতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং উচ্চমানের ওপর ভর করে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামের উন্নয়নে গ্রাম প্রধানদের এই মহৎ প্রচেষ্টার সঙ্গী হতে বদ্ধপরিকর ‘আল্ট্রাটেক’। কারণ, এককথায় বলা যায়, গ্রাম প্রধানের সক্রিয় ভূমিকা গ্রামীণ উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। তাই তাঁদের উদ্দেশ্যে দেশের নম্বর ১ সিমেন্ট আল্ট্রাটেক নিয়ে এসেছে এক অভিনব উদ্যোগ – ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মান। সম্প্রতি দেশের নম্বর ১ সিমেন্ট আল্ট্রাটেক, খড়গপুরের ‘দ্য ইভেন্ট ভিউ’ হোটেলে আয়োজন করেছিল ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মান।

প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সে দিনের অনুষ্ঠান। এরপর উত্তরীয় ও স্মারক দিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। এই অভিনব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের প্রাক্তন আধিকারিক, পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। এ ছাড়াও ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের আল্ট্রাটেক সিমেন্টের সেলস্‌ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অবিনাশ মিশ্র।

বিচারকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি, ভারত সরকারের পার্সোনাল এবং ট্রেনিং বিভাগ, ডিয়োপিটি’র ট্রেনার অতনু চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ‘মনের উন্মেষ’ এনজিয়োর প্রতিষ্ঠাতা অলোক কুমার দাস, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার গৌতম মোদক, ঘাটালের ‘ভোরের আলো ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’ এনজিয়োর প্রতিষ্ঠাতা তাপস দে।

সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের আইএসজিপি সেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ম্যানেজার ইন্দ্রাণী ঘোষ।

এই অনুষ্ঠানের মাননীয় প্রধান অতিথি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “আমাদের ইতিহাস এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস। একমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষেই গ্রামের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোয় পরিবর্তন আনা সম্ভব। আর গ্রাম প্রধানরাই হলেন এই পরিবর্তনের কান্ডারী, ডিসেন্ট্রালাইজেশন খুবই জরুরি। এই পথেই আমাদের এগোতে হবে। একমাত্র সমাজের সবস্তরের মানুষের অংশগ্রহণেই কোনও সামাজিক উদ্যোগ সফল হতে পারে।”

অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা দেশের নাম্বার ১ সিমেন্ট ‘আল্ট্রাটেক’-এর পক্ষ থেকে অবিনাশ মিশ্র বলেন, “গ্রাম হোক বা শহর যেকোনও পরিকাঠামোর উন্নয়নই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভিত তৈরি করে, গ্রামে আমাদের কর্মসংস্থান-এর সুযোগ তৈরি করতে হবে, উদ্যোগী, উদ্যমী, ব্যবসায়ীদের আমি আহবান জানাচ্ছি, আপনারা আসুন, দেশের নাম্বার ১ সিমেন্ট ‘আল্ট্রাটেক’-এর সঙ্গে যুক্ত হোন এবং আরও বহু মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিন।”

গ্রাম প্রধানদের নিরলস প্রচেষ্টায় আজ শুধু মাত্র গ্রামগুলিই যে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে তা নয়, বরং এই উন্নয়নই ভিত মজবুত করছে দেশের অগ্রগতির। তাঁদের সম্মান জানাতেই ‘আল্ট্রাটেক’-এর এই অভিনব উদ্যোগ, ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’। প্রায় এক মাস ব্যাপী চলা এই কর্মযজ্ঞে রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম নিয়ে তৈরি হয়েছিল মেদিনীপুর জ়োন। প্রায় ৪০০ আবেদনপত্রর মধ্যে থেকে কাজের নমুনার ছবি ও ভিডিয়ো দেখে বিচারকরা ২০জন পঞ্চায়েত প্রধানদের হাতে তুলে দেন ‘আল্ট্রাটেক যশস্বী প্রধান’ সম্মান।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই এই অনন্য উদ্যোগটির অত্যন্ত প্রশংসা করেছেন। প্রত্যেক বিজয়ী পঞ্চায়েত প্রধানদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে উত্তরীয় এবং সার্টিফিকেট। নিজেদের কথা বলতে উঠে বিজয়ীদের প্রত্যেকের গলায় ছিল প্রত্যয়ের সুর এবং নিজেদের গ্রামকে আরও ভালভাবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় সবাই উদ্যোক্তা ‘আল্ট্রাটেক সিমেন্ট’ এবং মিডিয়া পার্টনার আনন্দবাজার পত্রিকার এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘আল্ট্রাটেক সিমেন্ট’-এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

Rural Development Pradhan Panchayat pradhan Medinipur Zone Medinipur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy