আধুনিক শিক্ষা জগতের অন্যতম বৃহৎ এবং বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান — ‘নারায়ণা স্কুলস্’। ৪৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই প্রতিষ্ঠান সাফল্যের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, কোচিং এবং উচ্চশিক্ষার জগতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নারায়ণার প্রতিটি কেন্দ্রেই রয়েছে অভিজ্ঞ শিক্ষক, আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং উন্নত পরিকাঠামো।
নারায়ণার লক্ষ্য শুধু ভাল র্যাঙ্ক নয়। এখানে শিক্ষার্থীদের ভিত মজবুত করে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং ভবিষ্যতের জন্যও প্রস্তুত করে তোলা হয়। ‘জেইই’ (JEE), নিট (NEET) এবং অলিম্পিয়ডসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় নারায়ণার শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করে চলেছে।
এই বছরেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। ‘জেইই অ্যাডভান্সড ২০২৫’-এ নজিরবিহীন সাফল্য অর্জন করেছে ‘নারায়ণা এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস্’। ভারতের অন্যতম সেরা এবং মর্যাদাপূর্ণ এই ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষায় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে আবারও শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করল ‘নারায়ণা এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস্’।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর হলেন, মাজিদ হুসেন (AIR 3), পার্থ মন্দার ভার্তক (AIR 4), অক্ষত চৌরাশিয়া (AIR 6), সাহিল দেও (AIR 7) এবং ভাদলামুড়ি লোকেশ (AIR 10) ‘অল ইন্ডিয়া টপ টেন’-এ স্থান পেয়েছেন, যা এই প্রতিষ্ঠানকে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অপ্রতিদ্বন্দ্বী স্থান করে দিয়েছে। এ ছাড়াও, এই অসাধারণ কৃতিত্বের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সাম্যজ্যোতি বিশ্বাসের সাফল্যও, যিনি AIR 63 অর্জন করে নারায়ণার খ্যাতিকে আরও এক ধাপ উপরে নিয়ে গিয়েছেন। এই কৃতিত্ব নারায়ণার সুগঠিত শিক্ষার পরিকাঠামো এবং প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরলস প্রচেষ্টার প্রতিফলন।

পশ্চিমবঙ্গের ‘নারায়ণা স্কুলস্’-এর চেয়ারম্যান সুব্রমাণ্যম পংগুরু বলেন, “এই বছরের ‘জেইই অ্যাডভান্সড’-এ আমাদের শিক্ষার্থীদের এই অসামান্য সাফল্য গোটা নারায়ণা পরিবারের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। ‘অল ইন্ডিয়া টপ টেন’-এ পাঁচজন শিক্ষার্থী থাকা শুধু একটি সংখ্যার বিষয় নয় — এটি আমাদের ধারাবাহিক মানোন্নয়নও বটে, শিক্ষায় উদ্ভাবন এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের গভীর প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।”
পশ্চিমবঙ্গের ‘নারায়ণা স্কুলস্’-এর প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান প্রিয়াঙ্কা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রম এবং মনঃসংযোগই এই অভাবনীয় সাফল্যের নেপথ্যের মূল চালিকা শক্তি। ‘অল ইন্ডিয়া টপ টেন’-এ ৫টি এবং টপ ১০০-তে ২২টি র্যাঙ্ক প্রমাণ করে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কতটা আত্মবিশ্বাস আর সংকল্প কাজ করেছে। বিশেষ করে কলকাতার সাম্যজ্যোতি বিশ্বাস যার AIR 63, তিনি নিঃসন্দেহে কঠোর পরিশ্রম এবং নিখুঁত প্রস্তুতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।”
পশ্চিমবঙ্গের ‘নারায়ণা স্কুলস্’-এর আঞ্চলিক প্রধান কে. লক্ষ্মণ রাও জানিয়েছেন, “আমাদের প্রতিটি আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিভা খুঁজে বের করে এবং তা গড়ে তোলার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা করে। সাম্যজ্যোতির সাফল্য সেই প্রচেষ্টারই এক প্রমাণ।”
সাম্যজ্যোতি বিশ্বাস বলেছেন, “এই সাফল্য আমার একার নয়—আমার বাবা-মা, শিক্ষক এবং বন্ধুরা সবসময় পাশে ছিলেন। নারায়ণার পরিকাঠামোগত পাঠ্যক্রম পরিকল্পনা, ‘অল ইন্ডিয়া টেস্ট সিরিজ় এবং ধারাবাহিক গাইডেন্স আমাকে বাস্তব পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করেছে। এখন আমি সত্যি খুশি, কারণ আমি আমার ইঞ্জিনিয়ারিং স্বপ্নের আরও কাছাকাছি চলে এসেছি।”

৪৬ বছরের ঐতিহ্য এবং শিক্ষার মান বজায় রেখে ‘নারায়ণা এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস্’ আজ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এবং বিশ্বস্ত শিক্ষাব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। ‘জেইই’, ‘নিট’ এবং অলিম্পিয়ডে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষ মেধাতালিকায় তাদের অগ্রণী স্থান নিশ্চিত করেছে।
এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে নারায়ণার অসামান্য আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলি—পার্ক স্ট্রিট, মহেশতলা, নিউটাউন, শিলিগুড়ি, বহরমপুর, সোনারপুর, রায়গঞ্জ ও হাওড়া—যা প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের নিরলসভাবে গড়ে তুলছে এবং নারায়ণার শিক্ষা-ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করছে। তাই নারায়ণা মানেই শুধু শিক্ষার্থীদের ভাল র্যাঙ্কিং নয়, ভবিষ্যৎ গড়ার প্রতিশ্রুতি।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘নারায়ণা স্কুলস্—এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।