সাম্প্রতিক সময়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট ক্ষেত্রের শিক্ষাব্যবস্থায় অন্যতম নাম হয়ে উঠেছে ‘টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউন’। বছরের পর বছর ধরে এখানে আধুনিক পরিকাঠামো এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উচ্চমানের শিক্ষা প্রদান করা হয়। ‘ম্যাকাউট’ অধিভুক্ত এবং ‘এআইসিটিই’ স্বীকৃত এই প্রতিষ্ঠানে বি.টেক, এম.টেক, এমবিএ সহ নানা পেশাগত কোর্স এই প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
‘টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউন’-এর ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে ২০ বছরের কাছাকাছি শিক্ষাকর্মী হিসেবে যুক্ত রয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের ‘ট্রেনিং অ্যান্ড প্লেসমেন্ট’ বিভাগের প্রধান সৌম্য দাস। তিনি জানিয়েছেন, “আমি অসংখ্য শিক্ষার্থীকে তাদের নিজস্ব শক্তি এবং আবেগকে সনাক্ত করে সঠিক পথ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সংগ্রাম করতে দেখেছি। যার ফলে অনেকে নিজেদের দক্ষতা দেখানোর আগেই ভুল পথে পা বাড়িয়ে ফেলে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভুল শুধরোনোর আর জায়গা থাকে না। তখন বাধ্য হয়ে যে কোনও একটা কাজে ঢুকে পড়তে হয়।”
টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউনের শিক্ষাকর্মী সৌম্যর মতে, “শিক্ষার্থীদের প্রথমত বুঝতে হবে তাদের আগ্রহের মূল ক্ষেত্রগুলি কী কী? এ বার সেই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে গেলে যা যা করণীয় তা করতে তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত কি না। তাদের কেরিয়ার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাদের নিজস্ব দক্ষতাগুলিকে বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে বিষয় নিয়েই পড়াশুনার সুযোগ আসুক না কেন, সব ক্ষেত্রেই কী ভাবে সফল হওয়ার সুযোগ থাকে, সেটা জানতে হবে। পাশাপাশি এটাও মানতে হবে, উচ্চশিক্ষায় ফাঁকি দেওয়ার জায়গা নয়। প্রথমদিন থেকেই শিক্ষার্থীদের লক্ষ স্থির করে এগোনো দরকার।”
তিনি আরও বলেছেন, “শিক্ষার্থীরা প্রায়শই তাদের শিক্ষাগত জীবনে আত্মবিশ্লেষনের তাৎপর্যকে উপেক্ষা করে। জীবন এবং কেরিয়ারের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য নিজের শক্তি, আবেগ এবং আগ্রহগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যরা কি করছে, কোন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করছে সে বিষয়ে না ভেবে নিজের আগ্রহের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে, নিজের শক্তি -দুর্বলতা বুঝতে হবে। আনন্দের সাথে নিজের কর্মজীবন উদ্যাপন করতে হলে-দৃড়কল্প হতে হবে। এই বিষয়গুলি ছাড়া, শিক্ষার্থীদের আজকের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হবে।”

‘টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউন’-এর ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের ‘ট্রেনিং অ্যান্ড প্লেসমেন্ট’ বিভাগের প্রধান সৌম্য দাস
টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউনে শিক্ষার্থীদের সর্বতোভাবে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাদান এবং সহায়তা প্রদান করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানের কাউন্সেলিং সেশনগুলিতে চেষ্টা করা হয় শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ অনুভূতি, জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এবং শেখার আগ্রহকে সনাক্ত করার। সেই অনুয়ায়ী, তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তৈরি করা হয়। টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলিতেও শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত স্কিলগুলিকে উন্নতি করতে এবং চাকরিক্ষেত্রে তারা যাতে সাবলীল হতে পারে, সেই কথা মাথায় রেখেই সবকিছু ব্যবস্থা করা হয়।
এই কলেজ নানান অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সুবিধা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে:
- পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট এবং গ্রুমিং
- কমিউনিকেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং নিউমেরিকাল, লজিক্যাল, ভার্বাল অ্যানালিসিস-অপ্টিটিউড ট্রেনিং
এ ছাড়াও রয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ যা বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনে কাজে লাগে। যেমন: ‘অটোমেশন’, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স’, ‘মেশিন লার্নিং’, ‘ডেটা ইঞ্জিনিয়ারিং’, ‘ক্লাউড কম্পিউটিং’, ‘বিল্ডিং ইনফরমেশন মডেলিং’ ইত্যাদি।
বিগত বছরগুলিতে এখানকার শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টে ধারাবাহিকভাবে ভাল পারফর্ম করেছে। এই বছর ৮২ শতাংশ যোগ্য শিক্ষার্থী ‘মাইক্রোসফ্ট’, ‘টিসিএস’, ‘ক্যাপজেমিনি’, ‘কগনিজেন্ট’, ‘পিনাক্যাল’, ‘পিডাব্লিউসি’, ‘এল টি আই মাইন্ডট্রি’ এবং আরও অনেক নামী প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছে এবং অনেকেই একাধিক চাকরির অফারও পেয়েছে। এই প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়া এখনও চলছে।
এ ছাড়াও টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউনের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কলেজ থেকে পাশ করে কেউ চাকরি করছে, কেউ বা নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে বা কেউ আবার ব্যবসায়ী হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা শত ব্যস্ততার পরেও কলেজের সঙ্গে আজও একই ভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছে, যা খুবই আনন্দের। এখানকার প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের বেতনের পরিসর বার্ষিক তিন লক্ষ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা পর্যন্তও হয়েছে, যা ভারতের যে কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তুল্যমূল্য বিচার করা যায়। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছর নামীদামী একশোরও বেশি কোম্পানির ক্যাম্পাসিং আয়োজন করা হয় টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউনে।
এই প্রতিষ্ঠান সামগ্রিক উন্নয়নের পথকে বিশ্বাস করে। এই কলেজে একাধিক ক্লাব এবং পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরে তাদের আবেগ এবং দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিজস্ব আগ্রহগুলির অন্বেষণ করতে সক্ষমতা প্রদান করে।
ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানদন্ড অনুযায়ী এই কলেজ এখন ‘ন্যাক’-এর অনুমোদন পেয়েছে, যা কলেজের দীর্ঘ ইতিহাসকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। তা ছাড়াও ‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ দ্বারা ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন কোর্সগুলি অনুমোদিত, যা বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য। পাশাপাশি এই কলেজটি ‘মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি’ দ্বারা এবং স্বীকৃত।
‘টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউন’-এর ‘ট্রেনিং অ্যান্ড প্লেসমেন্ট’ বিভাগের প্রধান সৌম্য দাসের কথায়, “সদ্য যারা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু করার মুখে, তাদের মনে রাখতে হবে, শুরুর থেকেই শিক্ষার্থীদের নিজস্ব শক্তি এবং আবেগকে সনাক্তকরণে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা অপরিহার্য। এর সঙ্গে সঠিক নির্দেশনা এবং সহায়তা পেলে, শিক্ষার্থীরা তাদের সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পারবে এবং তাদের পরর্বতী লক্ষ্য অর্জন করতেও সক্ষম হবে। সঠিক প্রফেশনাল কেরিয়ার গড়ে তুলতে নিজের দক্ষতা, ইচ্ছা শক্তির সঙ্গে সঙ্গে সঠিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সঠিক গুরুর সান্নিধ্য লাভও বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়।”
‘টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউন’, শিক্ষার্থীদের তাদের কেরিয়ারে এবং জীবনে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা, পথ প্রদর্শন, সঠিক শিক্ষা এবং অনুপ্রেরণা সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভর্তির জন্য আগ্রহী থাকলে পাশের লিঙ্কে ক্লিক করুন:
https://admission.tint.edu.in/
অথবা ফোন করুন এই নম্বরে: ৯৬৭৪১১২০৭৬ / ২০৭৯
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘টেকনো ইন্টারন্যাশনাল নিউ টাউন’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।