—ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদীর জমানায় সরকারি পরিসংখ্যানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে গত সপ্তাহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ১০৮ জন অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী। তার পাল্টা যুক্তি দিতে আজ মাঠে নামলেন ১৩১ জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। টি ভি মোহনদাস পাই, কে জি সোমানি, নীলেশ শাহ, অজয় বাহ্ল, আনন্দ রথীর মতো শিল্প জগতের ব্যক্তিরা রয়েছেন এই দলে। তার পরেই প্রশ্ন উঠছে কেন অ্যাকাউন্ট্যান্টরা জাতীয় আয় নিয়ে মুখ খুললেন, তা নিয়ে।
চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের যুক্তি, আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান সংস্থাগুলি সরকারি পরিসংখ্যানে সিলমোহর দিয়েছে। যে সব অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, তাঁদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। দাবি করেছেন, যোগসাজশ করে এই অভিযোগ করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এর আগে নানা রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে সরকারি পুরস্কার ফেরানোর প্রবণতার সঙ্গেও এর মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।
অর্থনীতিবিদরা মূলত মোদী জমানায় আর্থিক বৃদ্ধি (জিডিপি) মাপার পদ্ধতি বদল, ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অর্গানাইজেশনের (এনএসএসও) বেকারত্বের পরিসংখ্যান ধামাচাপা দিয়ে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আজ সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, মার্চের শেষে এনএসএসও-র কর্মসংস্থান সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ হবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অর্থনীতিবিদদের আরও অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলে এনএসএসও অথবা সেন্ট্রাল স্ট্যাটিসটিকাল অফিসের (সিএসও) বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের দাবি, কেন্দ্রের জিডিপি, ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সংক্রান্ত পরিসংখ্যানে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার, বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতো সংস্থা সিলমোহর বসিয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা মূলত ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থার আয় নিয়ে কাজ করেন। তাদের সঙ্গে জাতীয় আয়ের কী সম্পর্ক? এ প্রসঙ্গে সোমবার ফেসবুকে অর্থনীতিবিদ মৈত্রেশ ঘটকের কটাক্ষ, কেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস? কারণ ন্যাশনাল ইনকাম অ্যাকাউন্টসের মধ্যে ‘অ্যাকাউন্টস’ শব্দটি রয়েছে। এটা অনেকটা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের নাগরিক অধিকার (সিভিল রাইট) নিয়ে মামলা করার মতো!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy