রাখঢাক না-করে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে কোনও সংস্থা। কেউ আবার প্রতিক্রিয়ায় সাবধানী দাঁড়ি টানছে শুধু রায়কে স্বাগত জানিয়ে। কিন্তু টেলি শিল্পের একাংশের কথায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে গুঞ্জন, ‘ক্ষতি যা হওয়ার, তা তো হয়েই গিয়েছে’।
টু-জি নিয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের রায় এ দিন অভিযুক্ত সংস্থাগুলিকে স্বস্তি দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু একই সঙ্গে তৈরি করেছে ধোঁয়াশা। অনেকেরই প্রশ্ন, তখন ১২২টি স্পেকট্রাম বাতিল হয়েছিল। তা ফের নিলামে চড়েছিল। বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল বিভিন্ন সংস্থাকে। এর জেরে অনেকে ব্যবসা গোটাতে পর্যন্ত বাধ্য হয়েছে। এ দিনের রায়ের পরে পুরো বিষয়টি তবে কোথায় গিয়ে দাঁড়াল?
মামলা থেকে ছাড় পেয়ে অন্যতম অভিযুক্ত ইউনিটেক-এর এমডি সঞ্জয় চন্দ্র যেমন চাঁচাছোলা ভাষায় বলেন, ‘‘ভিত্তি ছাড়াই ভুয়ো অভিযোগ চাপানো হয়েছিল। কিন্ত এতে আমার ও আমার সংস্থার আর্থিক অবস্থার উপরে প্রভাব পড়ে। তার খেসারত দিতে হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, নরওয়ের টেলিনরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে টেলিকম ব্যবসায় লগ্নি করেছিল ইউনিটেক। কিন্তু ওই ঘটনার পরে সমস্যায় পড়ে একদা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রিয়েল এস্টেট সংস্থাটি। আর্থিক হাল খারাপ হওয়ায় সময় মতো আবাসন তৈরি করতে না পারায় কাঠগড়ায় ওঠে সংস্থাটি। দশ বছরে শেয়ার মূল্যও পড়েছে প্রায় ৯৭%!
বাকি সংস্থা হয়তো এত ঝাঁঝালো আক্রমণের পথে হাঁটেনি। বলেছে, মাঝের সময়ে দেশে আমূল বদলেছে মোবাইল পরিষেবার চালচিত্র। তাই এখন আর নতুন করে পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটতে নারাজ তারা। কিন্তু খেসারত যে দিতে হয়েছে, তা মানছে সকলেই।
চন্দ্র ছাড়াও এসার গোষ্ঠীর রবিকান্ত ও অংশুমান রুইয়া, লুপ টেলিকমের আই পি খেতান ও কিরণ খেতান, এসার ও লুপের অন্যতম ডিরেক্টর বিকাশ সরাফ, রিলায়্যান্স এডিএজি গোষ্ঠীর তিন কর্তা-সহ অভিযুক্ত সকলকেই বেকসুর বলেছে আদালত। কিন্তু শিল্পের ক্ষোভ যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy