Advertisement
E-Paper

পেমেন্টস ব্যাঙ্কে ডাক বিভাগের সঙ্গে হাত মেলাতে চায় ৪০ সংস্থা

পেমেন্টস ব্যাঙ্ক খুলতে গত বছর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে নীতিগত সায় পেয়েছিল ডাক বিভাগ (ইন্ডিয়া পোস্ট)। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দাবি, ওই ব্যাঙ্ক চালু হলে, তার মারফত নানা পরিষেবা দেওয়ার জন্য ডাক বিভাগের সঙ্গে হাত মেলাতে ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছে অন্তত ৪০টি সংস্থা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ০২:৪৭
মুম্বইয়ে কেন্দ্রটির উদ্বোধনে রবি শঙ্কর প্রসাদ। ছবি:পিটিআই

মুম্বইয়ে কেন্দ্রটির উদ্বোধনে রবি শঙ্কর প্রসাদ। ছবি:পিটিআই

পেমেন্টস ব্যাঙ্ক খুলতে গত বছর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে নীতিগত সায় পেয়েছিল ডাক বিভাগ (ইন্ডিয়া পোস্ট)। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের দাবি, ওই ব্যাঙ্ক চালু হলে, তার মারফত নানা পরিষেবা দেওয়ার জন্য ডাক বিভাগের সঙ্গে হাত মেলাতে ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখিয়েছে অন্তত ৪০টি সংস্থা। এর মধ্যে সিটি গ্রুপ, বার্কলেজ-এর মতো বহুজাতিক রয়েছে। আছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের মতো ভারতীয় সংস্থাও।

শনিবার মুম্বইয়ে ডাক বিভাগের ই-কমার্স পার্সেল প্রসেসিং কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রসাদ। সেই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘শুধু নীতিগত সায় মিলেছে। তাতেই ডাক বিভাগের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গাঁটছড়া বাঁধার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ৪০টি বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান।’’

এই সূত্রে মার্কিন বহুজাতিক ব্যাঙ্ক সিটি গ্রুপ, ব্রিটিশ আর্থিক সংস্থা বার্কলেজ এবং দেশের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্ক আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কথা বলেন প্রসাদ। তিনি জানান, যে-সব সংস্থা হাত মেলানোর প্রস্তাব দিয়েছে, তাদের কেউ বিমা প্রকল্প বিক্রি করতে চায়। কেউ আবার সংস্থা বা সরকারের ঘর থেকে গ্রাহকদের দরজায় কোনও পরিষেবা পৌঁছে দিতে চায় ডাকঘর মারফত। ডাক বিভাগের ওই পেমেন্টস ব্যাঙ্কের কাজ ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে বলেও মন্ত্রীর দাবি।

গত ১৯ অগস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক খুলতে ১১ আবেদনকারীকে নীতিগত অনুমোদন দেয় শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তার মধ্যে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আদিত্য বিড়লা নুভো, ভোডাফোন এম-পেসা, এয়ারটেল এম কমার্স বা টেক মহীন্দ্রার মতো কর্পোরেট সংস্থা যেমন ছিল, তেমনই জায়গা পায় ডাক বিভাগও।

পেমেন্টস ব্যাঙ্ক নিয়ে নির্দেশিকায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, ওই ব্যাঙ্ক তৈরির মূল লক্ষ্য, ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুবিধা দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তেও পৌঁছে দেওয়া। যাতে সেখানে অন্তত তুলনায় ছোট অঙ্কের আমানত জমা করা যায়। তার মারফত এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় টাকা পাঠাতে পারেন বিশেষত ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্য শহর বা ভিন্‌ রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা। ছোট ব্যবসায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরাও এই পরিষেবায় উপকৃত হবেন বলে শীর্ষ ব্যাঙ্কের দাবি। শুধু তা-ই নয়। তবে এই ব্যাঙ্ক ধার দিতে পারবে না। ফলে ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার প্রশ্ন নেই।

অনুমোদন পাওয়ার দিনেই প্রসাদের দাবি ছিল, সকলের দরজায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ডাক বিভাগ। সারা দেশে ১.৫৪ লক্ষ ডাকঘরের মধ্যে ১.৩০ লক্ষই গ্রামাঞ্চলে। ডাক বিভাগকে ঘিরে এত সংস্থার আগ্রহের অন্যতম কারণও হয়তো দেশের সমস্ত প্রান্তে তাদের ওই উপস্থিতি।

ই-কমার্সের রমরমার হাত ধরে ডাক বিভাগের সামনে যে সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে গিয়েছে, তা-ও শনিবার বলেছেন প্রসাদ। এই মুহূর্তে দেশে ওই বাজারের মাপ প্রায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। শুধু বিভিন্ন ই-কমার্স সংস্থার পণ্য ক্রেতার দরজায় পৌঁছে দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে নিয়ে আসার ব্যবসা (ক্যাশ অন ডেলিভারি) থেকেই ২০১৫ সালে ডাক বিভাগের আয় হয়েছে ১,০০০ কোটি টাকা। মন্ত্রীর দাবি, ২০১৩-’১৪ সালে যেখানে তাদের মোট আয় ২% কমেছিল, সেখানে ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষে তা বেড়েছে ৩৭%। গত এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরে আবার তা বৃদ্ধি পেয়েছে ১২০%। তবে আয় এ ভাবে লাফিয়ে বেড়ে কততে পৌঁছেছে, সেই তথ্য অবশ্য প্রসাদ দেননি।

business payment bank 4 agencies connected
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy