Advertisement
E-Paper

পাঁচ দিনে আঙুল ফুলে কলাগাছ, ২২% বাড়ল স্টকের দাম, বড়দিনের সপ্তাহে ‘লাল ধাতু’র লগ্নিকারীদের পকেট গরম!

বর্ষশেষে বিপুল লাভের মুখ দেখলেন তামার স্টকের বিনিয়োগকারীরা। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান কপার লিমিটেডের শেয়ারের দাম পাঁচ দিনে ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:০৯
Hindustan copper limited stock price

ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।

টানা পাঁচ দিন ধরে রেকর্ড উত্থান তামার। হু হু করে বাড়ছে লাল ধাতুর স্টকের দাম। সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর বাজার খুলতেই তামা ঝড়ে বাম্পার রিটার্ন পেলেন লগ্নিকারীরা। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান কপারের শেয়ারের দাম গত সপ্তাহ থেকে এক লাফে ২২.১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সপ্তম ট্রেডিং সেশনে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) এই সংস্থার শেয়ার গড়েছে নতুন রেকর্ড। ২৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির তামার শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৫২৬.৭৫ টাকায়। পরে অবশ্য লাল ধাতুর সেই ষাঁড়ের দৌড় বন্ধ হয়। বাজার বন্ধ হওয়ার পর ৪৮৭.৮৫ টাকায় থিতু হয় হিন্দুস্তান কপারের শেয়ার।

তামার স্টকের এই রকেট উত্থানের জন্য দায়ী আন্তর্জাতিক বাজারে লাল ধাতুর চাহিদা। তামার মূল্যবৃদ্ধির মূল কারণ হল জোগানের তুলনায় চাহিদা বেশি। সোনা ও রুপোর পাশাপাশি লাল রঙের ধাতুর দামও চড় চড় করে বাড়ছে। এই বছর আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম টনপ্রতি প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রায় ১০ লক্ষ টাকারও বেশি। ল্যাটিন আমেরিকার দেশের তামার খনিতে তামা উত্তোলনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় জোগান কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এর ঘাটতি দেখা গিয়েছে। অন্য দিকে, বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এর বিপুল চাহিদা রয়েছে। সামঞ্জস্যের অভাব বিশ্ববাজারে লাল ধাতুকে আরও দামি করে তুলেছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের আবার দাবি, মূলত এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)-এর পরিকাঠামোর জন্য তামার চাহিদা হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বছরে এখনও পর্যন্ত তামার দাম ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালের পর লাল ধাতুর সর্বোচ্চ বৃদ্ধি দেখা গেল ২০২৫ সালে। কানাডার স্প্রট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বের প্রথম তামার ইটিএফ চালু করে। এই ফান্ডে প্রায় ১০ হাজার টন তামা মজুত রয়েছে এবং প্রায় ৪৬ শতাংশ লাভ হয়েছে। এর একটি ইউনিটের দাম প্রায় ১৪ কানাডিয়ান ডলার। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এই বছর তামার বাজারে ১ লক্ষ ২৪ হাজার টন ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে তা বেড়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টনে পৌঁছোতে পারে।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)

Share Bazar Copper Copper Stock
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy