পৃথিবীর অন্যতম টেক জায়ান্টকে টপকে গেল সাদা ধাতু। বিশ্বব্যাপী দামে বিপুল পরিবর্তনের জন্য অ্যাপ্লকে টপকে গেল রুপো। রকেটের গতিতে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শুভ্র এই ধাতুটি বিশ্বের তৃতীয় মূল্যবান সম্পদ। সোনা এবং এনভিডিয়ার পরে রুপোর স্থান। আগে এই জায়গাটি ধরে রেখেছিল অ্যাপ্ল। তাকে ছাড়িয়ে গেল রুপো।
বিশ্ববাজারে রুপোর দামের উত্থান চোখে পড়ার মতোই। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এক ট্রয় আউন্স (৩১.১ গ্রাম) সাদা ধাতুর দাম ৭২ ডলার থেকে ৭৯ ডলারের আশপাশেই ঘোরাফেরা করছে। দাম চড়ার নিরিখে একসময় চর্চার কেন্দ্রে ছিল সোনা। কিছু দিন ধরে সেই জায়গাটি নিয়ে নিয়েছে রুপো। ২৪ ডিসেম্বর ওয়াল স্ট্রিট বন্ধ হওয়ার সময় রুপোর বাজার মূলধন ৪.০৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়। অ্যাপ্লের ৪.০২ ট্রিলিয়ন ডলারের মূলধনকে ছাপিয়ে গিয়েছে এই ধাতু।
আন্তর্জাতিক বাজারের মতো ভারতের বাজারেও তেজি সোনা ও রুপোর দর। বিশ্বব্যাপী শীর্ষ তিনে রুপোর ঠাঁই পাওয়ার প্রাথমিক কারণ হল প্রচুর চাহিদা ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডে বিপুল বিনিয়োগ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত মার্কিন ফেডারেল রিজ়ার্ভ সুদের হার কমানোর পথেই হাঁটবে বলে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তাই আপাতত রুপোর দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই, বরং আরও বাড়বে। বৈদ্যুতিন গাড়ি, ইলেকট্রনিক্স, সৌর প্যানেল এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো শিল্পে রুপো গুরুত্বপূর্ণ। সোনার চড়া দামের কারণে তার বিকল্প হিসাবে সাধারণ মানুষ রুপোর দিকে ঝুঁকেছেন। তার উপরে লগ্নিকারীদের একাংশও এখন সুরক্ষিত গন্তব্য হিসাবে সোনা-রুপোর মতো ধাতুকে বেছে নিচ্ছেন। বছরের শেষে তাই সাদা ধাতুর দামে তৈরি হয়েছে নতুন নজির।