Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Banks

ঋণ নিয়ে চাপানউতোর ছোট শিল্প আর ব্যাঙ্কের

সম্প্রতি এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের সিনিয়র এগ্‌জ়িকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন্ত রামপাল বলেন, দেশে ছোট সংস্থার ছ’ভাগের এক ভাগ ব্যাঙ্ক ঋণ পায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২১ ০৬:৫৭
Share: Save:

করোনার জেরে লকডাউনে মার খেয়েছে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প (এমএসএমই)। বহু সংস্থা ঝাঁপ বন্ধ করতে বাধ্য হওয়ায় অসংখ্য মানুষ রোজগার হারিয়েছেন। অথচ দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং কর্মসংস্থান বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে এই শিল্প। যে কারণে গত বছর শুধুমাত্র ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলির কথা মাথায় রেখে বিশেষ ঋণ প্রকল্পও এনেছে সরকার। কিন্তু শুধু সেই প্রকল্প নয়, সামগ্রিক ভাবেই তাদের ঋণ পেতে আরও বেশি যোগ্য করে তোলা জরুরি বলে মত ব্যাঙ্কিং শিল্পের। তবে ছোট সংস্থাগুলির দাবি, অনেক সময়ে ঋণ পাওয়ার জন্য নথি ঠিক থাকলেও তা মেলে না।


সম্প্রতি এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের সিনিয়র এগ্‌জ়িকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন্ত রামপাল বলেন, দেশে ছোট সংস্থার ছ’ভাগের এক ভাগ ব্যাঙ্ক ঋণ পায়। বাকিদের কারও নথি অমিল, তো কারও জিএসটিতে নথিভুক্তি নেই। কারও প্রজেক্ট রিপোর্ট সম্পূর্ণ নয়। ফলে আগে এদের ঋণ পাওয়ার উপযুক্ত করে তুলতে হবে। স্টেট ব্যাঙ্কের বেঙ্গল সার্কেলের কর্তা রঞ্জন কুমার মিশ্রের কথায়, ‘‘দেখা গিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বা তার বাজার সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা নেই তাঁর।’’ একই মত জানিয়ে বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা এবং এমডি-সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষও বলেন, ‘‘অনেক সময়ে ঋণ নেওয়ার আগে শেষ মুহূর্তে নথিপত্রের ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করে ছোট সংস্থাগুলি। কিন্তু তখন সেটা সম্ভব হয় না। ফলে চাইলেও ব্যাঙ্কগুলি ওই সব সংস্থাকে ঋণ দিতে পারে না। তাই আগে থেকে তৈরি হওয়া জরুরি।’’


ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে ছোট সংস্থার একাংশের সমস্যার কথা মানছেন এই শিল্পের অন্যতম সংগঠন ফ্যাকসি-র প্রেসিডেন্ট হিতাংশু গুহ। তবে তাঁর দাবি, ‘‘নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেকের হয়তো নথিপত্র সম্পূর্ণ থাকে না বা প্রকল্প রিপোর্ট শর্ত অনু‌য়ায়ী পুরোটা তৈরি হয় না। কিন্তু অনেকের আবার সব ঠিক থাকলেও ঋণ পেতে সমস্যা হয়। আবার যারা আগেই ঋণ নিয়েছে, তাদের নথিপত্রে ত্রুটি থাকার কথা নয়। তা হলে তাদের অনেকেই কেন ঋণ পায় না বা কম পায়?’’

সেই সঙ্গে করোনার মধ্যে বহু ছোট সংস্থা বরাত হারালেও, অনেকে আবার তা পাচ্ছেও। কিন্তু হাতে মূলধন না-থাকায় ব্যাঙ্কের কাছে বরাতের কাগজ দেখিয়েও বাড়তি ঋণ মিলছে না বলে হিতাংশুর অভিযোগ। কখনও ব্যাঙ্কের শাখা ঝুঁকি না-নিয়ে হেড অফিসে ঋণ মঞ্জুরির জন্য পাঠাচ্ছে। তাতে দেরি হচ্ছে। ফলে বরাত হারাচ্ছে সংস্থা। তবে সমস্যা সত্ত্বেও, কিছু ক্ষেত্রে ঋণ বণ্টন কিছুটা বেড়েছে, মত তাঁর।
আর স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির এক কর্তার কথায়, কেন্দ্র ও রাজ্য এমএসএমইকে ঋণ দেওয়ায় জোর দিচ্ছে। মিলছে গ্যারান্টি। ফলে ঋণ একেবারে অমিল নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Loan Banks MSME
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE