Advertisement
E-Paper

সিমেন্টে ৩০০ কোটি, নয়া ইউনিট শালবনিতে  

শালবনি থানার আইসি বিশ্বজিৎ সাহা, মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:০৩
পুজো করে কাজের শুভারম্ভ। —নিজস্ব চিত্র।

পুজো করে কাজের শুভারম্ভ। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যের সব থেকে বড় সিমেন্ট কারখানা হতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে। গোদাপিয়াশালে ওসিএলের যে সিমেন্ট কারখানা রয়েছে, তারই সম্প্রসারণ হচ্ছে। সোমবার প্রস্তাবিত সেই কাজের ভূমিপুজো হয়েছে। নতুন এই ইউনিট চালু হলে এই কারখানা থেকে বছরে ৪ মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদন হবে। কারখানার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জয়ন্ত ঘোষ বলেন, “নতুন ইউনিটটি চালু হলে এটাই রাজ্যের সব থেকে বড় সিমেন্ট কারখানা হবে।’’ নতুন ইউনিটের কাজ আগামী আট মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শালবনির বিডিও সঞ্জয় মালাকার, শালবনি থানার আইসি বিশ্বজিৎ সাহা, মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা।

শালবনিতেই সিমেন্ট কারখানা গড়ে তুলেছে জিন্দলরা। ওসিএলের কারখানা থেকে জিন্দল প্রকল্পের দূরত্ব বড়জোর পাঁচ কিলোমিটার। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এই সব এলাকা বছর কয়েক আগেও ধু ধু মাঠ ছিল। সেচের অভাবে বেশিরভাগ জমিতে চাষ হত না। যেটুকু হত তাও একফসলি। কারখানার হাত ধরে এলাকার ভোল পাল্টেছে। সেচের হাল ফিরেছে, রাস্তা তৈরি হয়েছে, রাস্তার পাশে আলো বসেছে এবং সব থেকে বড় কথা স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হয়েছে। মহিলারাও স্বনির্ভর প্রকল্পে কাজ শিখে নিজেদের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন। স্থানীয় মানুষজন তাই চাইছেন, আরও শিল্প, আরও কাজ। এলাকার বাসিন্দা শম্পা পণ্ডিত মানছেন, ‘‘কারখানা আসার ফলে এলাকার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিটাই বদলে গিয়েছে।’’

গোদাপিয়াশালেই ওসিএল ইন্ডিয়া লিমিটেডের সিমেন্ট কারখানা ২০১৪ সালে চালু হয়েছে। ইতিমধ্যে কারখানার কিছুটা সম্প্রসারণ হয়েছে, উত্পাদন বেড়েছে। এখন এখানে বছরে ১.৭৫ মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদন হয়। শুরুতে এই পরিমাণটা ছিল ১.৩৫ মিলিয়ন টন। এ বার আরও সম্প্রসারণের উদ্দেশে পুরনো ইউনিটের পাশাপাশি নতুন একটি ইউনিট গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন ইউনিটে বছরে ২.২৫ মিলিয়ন টন সিমেন্ট উৎপাদন হওয়ার কথা। নতুন ইউনিটের জন্য ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। ১০০-১৫০ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হওয়ার কথা, পরোক্ষ ভাবে আরও ৩০০- ৪০০ জনের। নতুন ইউনিটের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে না। রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের দেওয়া ১৫৪.৪৩ একর জমি কোম্পানির হাতে রয়েছে। এখানেই পুরনো ইউনিটের পাশে নতুন ইউনিট গড়ে উঠবে। কারখানার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জয়ন্ত ঘোষের কথায়, “মানুষকে সঙ্গে নিয়েই এই কারখানা এগোবে। এলাকার আরও উন্নয়নে এই কারখানা সব রকম চেষ্ট করবে।’’

Salboni Cement শালবনি সিমেন্ট
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy