দেড় বছরে ৮০,২৪২টি ফ্ল্যাট নথিভুক্ত হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
মূল্যবৃদ্ধি যুঝতে গত বছর মে থেকে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক টানা সুদের হার বাড়ানোয় তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমশ বেড়েছে গৃহঋণের সুদও। অতিমারির আবহে যা ক্রেতার পকেটে বাড়তি টান ফেলছে। তবে এর মধ্যেও গত নভেম্বর, ডিসেম্বরের পরে জানুয়ারিতে বৃহত্তর কলকাতায় ফ্ল্যাট বিক্রি ও নথিভুক্তি বেশ খানিকটা বেড়েছে বলে সমীক্ষায় জানাল আবাসন ক্ষেত্রের উপদেষ্টা নাইট ফ্র্যাঙ্ক। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের মতে, তাতে অবশ্যই ইন্ধন জুগিয়েছে সম্পত্তি নথিভুক্তির ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি এবং বিভিন্ন এলাকার জমি-বাড়ির সরকার নির্ধারিত বাজারমূল্যে (সার্কল রেট) ছাড়ের সুবিধা। পাশাপাশি, ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের বাজেটের আগেই ফ্ল্যাট কেনা ও নথিভুক্তিতে অনেকে বাড়তি আগ্রহী ছিলেন বলেও মনে করছে একাংশ।
নাইট ফ্র্যাঙ্কের হিসাবে, গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে বৃহত্তর কলকাতায় তিন হাজারের কিছু বেশি ফ্ল্যাট নথিভুক্ত হয়েছে। জানুয়ারিতে বেড়ে হয়েছে ৪১৭৮টি। আগের বছরের জানুয়ারির চেয়ে যা ৭৫% বেশি।
করোনার মধ্যে ২০২১ সালের জুলাইয়ে স্ট্যাম্প ডিউটি ও সার্কল রেটে ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য। তার পর থেকে দেড় বছরে ৮০,২৪২টি ফ্ল্যাট নথিভুক্ত হয়েছে। ছাড়ের আগের দেড় বছরে যা ছিল ৪৭ হাজারের কিছু বেশি। নাইট ফ্র্যাঙ্কের সিএমডি শিশির বৈজল এবং সংস্থার পূর্বাঞ্চলের সিনিয়র ডিরেক্টর অভিজিৎ দাস, আবাসন শিল্পের সংগঠন ক্রেডাইয়ের এ রাজ্যের প্রেসিডেন্ট সুশীল মোহতা প্রমুখের মতে, ওই ছাড় ফ্ল্যাট-বাড়ি রেজিস্ট্রেশন বৃদ্ধির মূল অনুঘটক।
তার উপরে ক্রেতা ও আবাসন ক্ষেত্রকে উৎসাহ দিতে এ বারের বাজেটে এই ছাড় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। তা যথাযথ পদক্ষেপ বলে জানিয়ে নাইট ফ্র্যাঙ্কের কর্তাদের বক্তব্য, সুদ বৃদ্ধির সময়ে তা নিঃসন্দেহে সম্পত্তি কেনা ও নথিভুক্তিতে গতি দেবে। এ বছরে তাই ব্যবসার বিষয়ে যথেষ্টই আশাবাদী সুশীলও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy