বাংলাদেশের থেকে বিদ্যুতের বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে আদানি পাওয়ার এ বার আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়ার পথে পা বাড়াল। সেখানে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদের (বিপিডিবি) মুখোমুখি হতে হবে আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাটিকে। দু’পক্ষই মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেছে। সূত্রের খবর, সালিশি প্রক্রিয়া সফল না হলে সরাসরি আইনি লড়াইয়ে নামতে হতে পারে তাদের।
ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পুরো বিদ্যুৎ ২৫ বছর বাংলাদেশকে সরবরাহের ব্যাপারে দু’পক্ষের চুক্তি হয়েছিল। ২০১৭ সালের চুক্তি অনুসারে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি পাওয়ার। কিন্তু গত বছরের অক্টোবরে এই সরবরাহের পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনে মুহাম্মদ ইউনূস পরিচালিত অন্তর্বর্তিকালীন সরকার। তাদের কাছে আদানি পাওয়ারের বকেয়া ছিল ৫৫০০ কোটি টাকারও বেশি। জুনের মধ্যে ৩৭০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ দিয়েছে ৩২০০ কোটি টাকা। সেই সময় পর্যন্ত বকেয়া ৫০০ কোটি টাকা।
এরই মধ্যে পূর্বতন শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে আদানি পাওয়ারের চুক্তি ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে ঢাকা। তাদের হুঁশিয়ারি, অনিয়ম বা দুর্নীতি প্রমাণিত হলে চুক্তি খারিজ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না তারা। অন্য দিকে, ১০ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া মেটানো না হলে ১১ তারিখ থেকে সে দেশে সরবরাহ বন্ধের কথা জানিয়েছে আদানি পাওয়ার। সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান অবিনাশ অনুরাগ ৩১ অক্টোবর বিপিডিবি-র চেয়ারম্যানের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠিও পাঠিয়েছেন।
আদানি গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র বলেন, ‘‘কিছু খরচের উপাদান গণনা ও বিলের ক্ষেত্রে মতবিরোধ রয়েছে। বিবাদ মীমাংসার প্রক্রিয়ায় সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ। দ্রুত, সহজ ও পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধানের আশা করছে তারা।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)