বিশ্বের প্রায় ১৯০টি দেশের উপরে শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার জেরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ধাক্কা তো লাগছেই, স্বস্তিতে নেই তাঁর নিজের দেশের অর্থনীতিও। এ বার সেই শুল্ক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের লক্ষ্যে পদক্ষেপ করল আমেরিকার সেনেট। ট্রাম্পের এশিয়া সফরের মধ্যেই ৫১-৪৭ ভোটে বিশেষ প্রস্তাবনা পাশ হয়েছে। যা কার্যকর হলে ট্রাম্পের অনেক শুল্ক সিদ্ধান্তই প্রত্যাহার করতে হতে পারে। প্রেসিডেন্টের অস্বস্তি বাড়িয়ে এতে সায় দিয়েছেন তাঁর রিপাবলিকান দলের চার সদস্যও।
সম্প্রতি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প জানিয়েছেন, বেজিংয়ের শুল্কের বোঝা কমাবেন তিনি। বদলে আগামী তিন বছর ধরে আমেরিকা থেকে ২.৫ কোটি টন সয়াবিন কিনবে চিন। নিজের বাণিজ্য আলোচনার ঘোষণায় সন্তোষও প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। যদিও তাঁর এই বক্তব্যের মধ্যেই আমেরিকার কংগ্রেসের আনা প্রস্তাব কার্যকর হলে যে জাতীয় সুরক্ষার প্রশ্নে ট্রাম্প শুল্ক চাপিয়েছেন, তা-ই খারিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সপ্তাহে ব্রাজ়িল এবং কানাডার উপরে চাপানো শুল্ক বাতিলের সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছে সেনেট।
তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, প্রথমে হাউসে শুল্ক বিরোধী প্রস্তাব আনলেও, ডেমোক্র্যাটদের সেই সিদ্ধান্ত কার্যকরের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে রিপাবলিকান দল। তার পরেও সেনেটে গিয়েছেন বিরোধীরা। তবে এই দফায় রিপাবলিকান সদস্যদের একাংশও ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে ভোটে সায় দিয়েছেন। তবে প্রস্তাব পাশ হলেই যে তা কার্যকর হবে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। কারণ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তাতে ভিটো দিতে পারেন। সামগ্রিক ভাবেও রিপাবলিকানরা চিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনায় তাঁর জয় দেখতে ব্যস্ত। ফলে শুল্ক প্রস্তাব কতটা এগোয় সেটাই এখন দেখার বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)