E-Paper

দেশে বেকারত্ব সংক্রান্ত সরকারি পরিসংখ্যানের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অমিত

বুধবার প্রবীণ অর্থনীতিবিদ এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের বেকারত্বের হার ছিল ৪.৯%।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৭:৫৬
অমিত মিত্র।

অমিত মিত্র। —ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের বেকারত্বের তথ্য এবং তা নির্ণয়ের মাপকাঠি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থ দফতরের মুখ‍্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র। কেন্দ্রের প্রকাশ করা বেকারত্বের হারের সঙ্গে বেসরকারি উপদেষ্টা সংস্থাগুলির সমীক্ষার ফলাফলের ফারাকের দিকে আঙুল তুলে তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র এই সমস্যার সমাধান করুক। না হলে সরকারি পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতা কমছে।

বুধবার প্রবীণ অর্থনীতিবিদ এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের বেকারত্বের হার ছিল ৪.৯%। কিন্তু স্বাধীন সংস্থা সিএমআইই-র রিপোর্টে দাবি, কর্মহীনের হার আদতে ৮.০৫%। এই প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একটি সমীক্ষার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। অর্থনীতিবিদদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ৭০% অর্থনীতিবিদ ভারতের বেকারত্ব সংক্রান্ত সরকারি সমীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। দাবি করেছেন, বেকারত্বের ভয়াবহতা রেখেঢেকে দেখানো হয়েছে সেখানে। এই প্রসঙ্গে সরকারি সমীক্ষার মাপকাঠি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অমিত। তাঁর বক্তব্য, পারিবারিক ব্যবসায় কাজ করা রোজগারহীন সদস্যকে বেকারত্বের বাইরে রাখা হয়েছে। সপ্তাহে এক দিন মাত্র এক ঘণ্টা আর্থিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ফেলা হচ্ছে রোজগেরের তালিকায়।

অমিতের বক্তব্য, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, মোদী সরকারের সমীক্ষা দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিশ্বাস করাতে চেষ্টা করছে, ভারতে বেকারত্বের হার ৪ শতাংশের কাছাকাছি।... দেশে কর্মহীনের সংখ্যা মাঝেমধ্যেই ৪ কোটি অতিক্রম করে যায়। যা স্পেনের জনসংখ্যার কাছাকাছি।’’ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) একটি রিপোর্ট ঘিরেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অমিত। যেখানে বলা হয়ছে, ভারতে কর্মহীনদের ৮৩% যুব সম্প্রদায়ের। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, সম্প্রতি বেকারত্বের মাসিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে শুরু করেছে কেন্দ্র। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মে এবং জুনে সারা দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৫.৬%। সেই হারও যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Amit Mitra

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy