প্রতীকী চিত্র।
পুরনো ঠিকা কর্মীদের বকেয়া বেতনের তৃতীয় কিস্তির সিংহভাগই বণ্টন করা হয়েছে বলে দাবি করল বিএসএনএলের কলকাতা শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্স (ক্যাল-টেল)। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, আপাতত জমা পড়া সব বিলই মেটানো হয়েছে।
পুরনো প্রথায় ক্যাল-টেলে হাজার চারেক ঠিকা কর্মী তৎকালীন বিভিন্ন ঠিকাদারদের অধীনে কাজ করতেন। কিন্তু গত বছর থেকে সংস্থার আর্থিক সঙ্কটের জেরে ঠিকাদারদের পাওনা মেটানো ধাক্কা খায়। কর্মীদের দাবি ছিল, তাঁদের বেতন বাকি প্রায় এক বছর। শুরুতে আর্থিক সঙ্কটের কথা মানলেও সংস্থার দাবি, পরে ঠিকমতো বিল জমা পড়েনি। তা ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী আগে ঠিকাদারদের কর্মীদের পিএফ-ইএসআই মেটানোর কথা। সেই সঙ্গে জিএসটি দেওয়ার পরে বিল জমা দেওয়ায় কথা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তা না-হওয়ায় বিল মেটানো যাচ্ছিল না।
উল্লেখ্য, বিএসএনএলের সদর দফতর ওই খাতে দু’দফায় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু ঠিকাদার নিয়োগের নতুন নিয়ম চালু করতে পুরনো ঠিকা কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে কাজে বাধার অভিযোগ ওঠে। তাতে কিছু টাকা ফেরত যাওয়ার উপক্রম হলেও পরে অবশ্য তা হয়নি।
সংস্থা জানিয়েছে, তৃতীয় দফায় আরও ১০ কোটি বরাদ্দ হয়েছিল। তার সিংহভাগ অর্থ বিল মেটাতে খরচ হয়েছে। কোনও বিল আপাতত পড়ে নেই। ফলে অনেক কর্মীই গত মার্চ পর্যন্ত বকেয়া পেয়েছেন। যাঁদের তার চেয়ে বেশি দিন বকেয়া রয়েছে, তাঁদের বিল জমা পড়েনি। কর্তৃপক্ষের দাবি, পরে ওই কর্মীদের কর্মদিবস অর্ধেক করা হয়। ফলে তখন বেতনও কম হবে। তাদের আশ্বাস, নিয়ম মেনে বিল জমা দিলে দ্রুত তা মেটানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy