Advertisement
E-Paper

কাশ্মীরের উঠোনে লগ্নির তোড়জোড়

সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পরে নরেন্দ্র মোদী সরকার জম্মু-কাশ্মীরে বিনিয়োগকারীদের সম্মেলন করতে চলেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০৬:০৭
১২ অক্টোবর শ্রীনগরে এবং ১৪ অক্টোবর জম্মুতে জম্মু-কাশ্মীর বিনিয়োগকারী সম্মেলন বসবে।

১২ অক্টোবর শ্রীনগরে এবং ১৪ অক্টোবর জম্মুতে জম্মু-কাশ্মীর বিনিয়োগকারী সম্মেলন বসবে।

‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’-এর আদলে এ বার ‘ভাইব্র্যান্ট জম্মু-কাশ্মীর’!

সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের পরে নরেন্দ্র মোদী সরকার জম্মু-কাশ্মীরে বিনিয়োগকারীদের সম্মেলন করতে চলেছে। সরকারি সূত্রের খবর, ১২ অক্টোবর শ্রীনগরে এবং ১৪ অক্টোবর জম্মুতে জম্মু-কাশ্মীর বিনিয়োগকারী সম্মেলন বসবে। রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের অধীনে রাজ্য প্রশাসনিক পরিষদে এই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। বণিকসভা সিআইআই ও জম্মু-কাশ্মীর বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থাও এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের প্রক্রিয়া শেষ হলে বুধবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার কথা। সেখানে তিনি জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের রূপরেখা স্পষ্ট করতে পারেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের যুক্তি, ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও ৩৫এ অনুচ্ছেদ জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এর জন্যই সেখানে হোটেল, বড় শিল্প হতে পারছিল না। ৩৭০ ও ৩৫এ অনুচ্ছেদের বাধা কেটে যাওয়ার ফলে সেখানে উন্নয়নের জোয়ার আসবে।

সম্ভাবনা

• জম্মু-কাশ্মীরে শিল্প সম্মেলন। ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’-এর ধাঁচে ‘ভাইব্র্যান্ট জম্মু-কাশ্মীর’।
• শ্রীনগরে তা হতে পারে ১২ অক্টোবর। জম্মুতে
১৪ অক্টোবর।
• হাত মেলাচ্ছে সিআইআই এবং জম্মু-কাশ্মীর বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থা।
• ফুড পার্ক, পর্যটন, বিপিও-র পাশাপাশি চোখ রেল, জল বিদ্যুতের মতো সরকারি প্রকল্পে।

উন্নয়ন তথা আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে যে জম্মু-কাশ্মীর পিছিয়ে, অর্থনীতির বিভিন্ন পরিসংখ্যানও সে কথাই বলছে। ২০১৯-র জুনেই সেখানে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৯%। সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬-র জানুয়ারি থেকে ২০১৯-র জুলাই পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে বেকারত্বের মাসিক গড় হার ছিল ১৫%, যা গোটা দেশের গড় হারের (৬.৪%) দ্বিগুণের বেশি। এমনিতেই গোটা দেশে নতুন লগ্নির হাল খারাপ। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তা আগের বছরের তুলনায় ১৯% কমেছে। নতুন লগ্নির মাত্র ০.০২% পেয়েছে জম্মু-কাশ্মীর।

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ব্লগে যুক্তি দিয়েছেন, এখন জম্মু-কাশ্মীরে কোনও শিল্প নেই। তেমন কোনও বেসরকারি হাসপাতাল নেই। ভরসাযোগ্য কোনও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। দেশের সবথেকে সুন্দর রাজ্যে হোটেল গোষ্ঠীগুলিও লগ্নি করেনি। ফলে রাজ্যের রাজস্ব আয় বাড়েনি। স্থানীয়েরাও চাকরি পাননি।

সরকারি টাকা যে ব্যয় হয়নি, তা নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের যুক্তি, ২০০৪ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে ২.৭৭ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। লগ্নি পৌঁছলে জমির দামও বাড়বে। স্থানীয়েরা উপকৃত হবেন।

Jammu And Kashmir Article 370 জম্মু ও কাশ্মীর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy