অরুণ জেটলি ও সিআইআই প্রেসিডেন্ট অজয় শ্রীরাম। ছবি: পিটিআই।
ভারতে প্রত্যেককেই আইন মেনে কর মেটাতে হবে। আর, এই ন্যায্য প্রাপ্য আদায়ে কেন্দ্রের প্রচে়ষ্টাকে কখনওই ‘কর সন্ত্রাস’ তকমা দেওয়া যাবে না। কর আদায়ের জন্য ১০০টি বিদেশি আর্থিক সংস্থাকে পাঠানো নোটিসের প্রতি ইঙ্গিত করে সোমবার জোরের সঙ্গে এ কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি ডলার (৩০ হাজার থেকে ৩৬ হাজার কোটি টাকা) কর তাদের কাছে প্রাপ্য বলে ওই সব নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেটলি এ দিন সাফ জানান, ‘‘ভারতের অর্থনীতি এতটা দুর্বল নয় যে, আমরা সহজেই আইনসঙ্গত ভাবে প্রাপ্য প্রতিটি করের দাবি থেকে সরে আসব, কিংবা শুল্কের দাবিকে কেউ ‘কর সন্ত্রাস’ বললেই তা মেনে নেব। ভারত করছাড়ের মুক্তাঞ্চল নয়, আমরা তা হতেও চাই না।’’ বণিকসভা সিআইআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় আজ বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে ভারতের শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলি (এফআইআই) যে ‘নিঃশুল্ক মুনাফা’ করেছে, তাই ৫০০-৬০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে হিসাব আয়কর দফতরের। এক লপ্তে এত বেশি এফআইআই-কে এর আগে নোটিস পাঠায়নি কেন্দ্র। ওই সব সংস্থার মূলধনী লাভের উপর ২০১১-’১২ হিসাব বর্ষ ও তার কয়েক বছর আগের জন্য ২০% হারে ন্যূনতম বিকল্প কর বা ম্যাট বাবদ এই অর্থ দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিতর্কের শুরু জেটলির বাজেট ঘোষণা ঘিরেই। বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, বিদেশি আর্থিক সংস্থার উপর ম্যাট চাপানো হবে না ২০১৫-’১৬ থেকে। কিন্তু পুরনো বকেয়া ম্যাট প্রসঙ্গে জেটলি সোমবার বলেন, ‘‘করের দাবি যেখানে ন্যায়সঙ্গত, সেখানে তা মেটাতে হবে। তা না-হলে তার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া যেতেই পারে। আমরা যে ভাবে বিধি মেনে এগোচ্ছি, সেটাই অনেকে ভুল বুঝেছেন। ভারতে কর সন্ত্রাস নেই বলেই এ দেশে যথেচ্ছ করছাড়ও দেওয়া হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy