প্রতীকী ছবি।
পরিকল্পনার গোড়া থেকে শামিল থাকলেও শেষ মুহূর্তে ১৬টি দেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (আরসিইপি) থেকে সরে এসেছিল ভারত। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদেও এই বাণিজ্যের মঞ্চ থেকে দূরে থাকলে বিদেশি লগ্নি আসা ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা রাষ্ট্রপুঞ্জের আর্থিক ও সামাজিক কমিশনের (দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া) প্রধান নাগেশ কুমারের। একই সঙ্গে তিনি বলছেন, ২০১৯-২০ সালে ভারত যেখানে ৫% বৃদ্ধির মুখ দেখতে পারে, সেখানে বাংলাদেশ ৮.১%। টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতির মধ্যেও তার অন্যতম কারণ হিসেবে চিন-মার্কিন শুল্ক-যুদ্ধের সুফলকেই চিহ্নিত করছেন তিনি।
বাণিজ্য-যুদ্ধ শুরুর সময়ে কেন্দ্রের দাবি ছিল, আখেরে এর সুফল ঘরে তুলবে ভারত। এই সুযোগে বিশ্ব বাজারের আরও বড় অংশ দখলে আনবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং কমেছে রফতানি। নাগেশের দাবি, অথচ বাণিজ্য-যুদ্ধ শুরুর পরে চিন থেকে বহু বস্ত্র সংস্থা কারখানা কিংবা নিদেন পক্ষে বরাত সরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ, ভিয়েতনামে। যা শেষে জ্বালানি হয়েছে ওই পড়শি মুলুকের চড়া বৃদ্ধির। আরসিইপি সম্পর্কেও তাঁর যুক্তি, এর বাইরে থাকলে রফতানির বড় বাজার ফস্কে যাওয়ার আশঙ্কা। ভারতে পুঁজি ঢালতে গিয়েও দ্বিধায় পড়বেন বিদেশি লগ্নিকারীদের অনেকে। কারণ, যে দেশে টাকা ঢাললে বাজারের দরজা খোলা পাওয়া যাবে, তারাই অগ্রাধিকার পেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy