Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
2000 Currency Notes

নোট জমায় স্বস্তি ফিরছে ব্যাঙ্কে

ব্যাঙ্কিং শিল্পের দাবি, নোটের বেশিরভাগটাই অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে। তা বদলে নেওয়ার ঝোঁক অনেক কম। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত কিছু ব্যাঙ্কে প্রায় ৮০ শতাংশই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।

An image of 2000 Currency Notes

—প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ০৬:০৮
Share: Save:

বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার জন্য সকলকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেগুলি বদল করে নিতে বা অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বলেছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কিং শিল্পের দাবি, নোটের বেশিরভাগটাই অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে। তা বদলে নেওয়ার ঝোঁক অনেক কম। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত কিছু ব্যাঙ্কে প্রায় ৮০ শতাংশই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। বিশেষজ্ঞদের আশা, এর ফলে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে নগদ জোগানের যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তার কিছুটা সুরাহা হওয়ার সম্ভাবনা।

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের হিসাব অনুযায়ী, বাজারে ৩.৬ লক্ষ ২০০০ টাকার নোট চালু ছিল। সেগুলি অ্যাকাউন্টে জমা পড়লে, বাড়বে ব্যাঙ্কে আমানতের বহর। তথ্য বলছে, বর্তমানে ব্যাঙ্ক শিল্পে ঋণের চাহিদা বৃদ্ধির তুলনায় আমানত বৃদ্ধি প্রায় ৫ শতাংশ বিন্দু কম। গত বছরে যেখানে ঋণের চাহিদা বেড়েছে ১৫%, সেখানে আমানত বৃদ্ধি প্রায় ১০%। এই অবস্থায় ২০০০-এর নোটে আমানত বৃদ্ধির ঝোঁকে স্বস্তি ফিরেছে কিছু ব্যাঙ্কে। এখনও পর্যন্ত নোট জমার মোট হিসাব বেরোয়নি। তবে ৬টি ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, তাদের কাছে ৮০-৯০ শতাংশের মতো ২০০০-এর নোটই অ্যকাউন্টে জমা পড়েছে। ব্যাঙ্ক অব বরোদার এক অর্থনীতিবিদ বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যদি ৭৫% নোটই বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ঢোকে, তা হলে এই শিল্পে আমানত বাড়তে পারে ২.৭ লক্ষ কোটি টাকার মতো।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মে থেকে ২০০০ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ব্যাঙ্কে জমা এবং বদলের কাজ চলছে দৈনন্দিন ব্যাঙ্কিং কাজকর্মের সঙ্গেই। আরবিআই বলেছিল, একলপ্তে ২০,০০০ টাকার বেশি বদল করা যাবে না। তবে গ্রাহক নিজের অ্যাকাউন্টে তা জমা দিতে চাইলে ঊর্ধ্বসীমা নেই।

এ দিকে, পরিচয় গোপন রেখে নোট বদলের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলার শুনানি দ্রুত করার আবেদনের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রির রিপোর্ট চেয়েছে সু্প্রিম কোর্ট। আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় ওই আবেদন করলে দুই বিচারপতির অবকাশকালীন বেঞ্চ মামলার অবস্থান জানার জন্য রেজিস্ট্রি রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। এর আগে গরমের ছুটির মধ্যে শুনানির আবেদন খারিজ করেছিল আদালত। উপাধ্যায়ের দাবি, মাওবাদী, সন্ত্রাসবাদী, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইতিমধ্যেই ৮০,০০০ কোটি টাকার ২০০০-এর নোট ভাঙিয়ে নিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবর। আরও সময় গেলে সব নোটই বদলে নেবে তারা। তবে বিচারপতিরা বলেন, “আমরা সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করতে পারি না। রেজিস্ট্রি রিপোর্ট খতিয়ে দেখছি।’’ বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে উপাধ্যায়ের জনস্বার্থ মামলা খারিজ করেছিল দিল্লি হাই কোর্ট। তার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE