Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

সয়াবিন আর বিমানে বদলা বেজিংয়ের

আমেরিকা ও চিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্কের পাঁচিল তোলায় একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার নীতিই নিয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং ও ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৮ ০২:২৯
Share: Save:

পুরোদমে শুল্কের লড়াই শুরু বিশ্বের দুই প্রধান অর্থনৈতিক শক্তির।

আমেরিকা ও চিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্কের পাঁচিল তোলায় একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার নীতিই নিয়েছে। গত কাল ভারতীয় সময় গভীর রাতে ১,৩০০টি চিনা রফতানি পণ্যে ৫ হাজার কোটি ডলারের শুল্ক বসানোর তালিকা প্রকাশ করে আমেরিকা। পাল্টা হিসেবে চিন বুধবার ১৪টি ক্ষেত্রের ১০৬টি মার্কিন পণ্যে সমপরিমাণ আমদানি শুল্ক চাপিয়েছে। শুল্কের হার ২৫%। আমেরিকা মূলত যন্ত্রপাতি, রোবট, যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত পণ্যে শুল্ক বসালেও চিন এমন কিছু মার্কিন পণ্যকে লক্ষ্য করে শুল্কের তির ছুড়েছে, চিনে যেগুলির বিপুল বাজার। যেমন, সয়াবিন, ফলের রস, তামাক, শুয়োরের মাংস, গাড়ি, ছোট বিমান। আমেরিকা থেকে চিনে সয়াবিন আসে ১,২৪০ কোটি ডলারের, যা তার সয়াবিন রফতানির ৬২%। আর ২০৩৬ পর্যন্ত ৭,০০০টি বিমানের বরাত মার্কিং সংস্থা বোয়িংকে দিয়ে রেখেছে বিভিন্ন চিনা সংস্থাই।

ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক বসানোর প্রতিক্রিয়ায় আগেই ১২৮টি মার্কিন পণ্যে ৩০০ কোটি ডলারের শুল্ক চাপিয়েছে বেজিং। তার সঙ্গে যোগ হল এই ১০৬টি পণ্য। তবে চিনা অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, কবে থেকে মার্কিন পণ্যে ওই চড়া শুল্ক বসানো হবে, তা ঘোষণা করা হচ্ছে না। ট্রাম্প প্রশাসন কবে সিদ্ধান্ত রূপায়ণ করে, তার উপরই সেটা নির্ভর করবে।

আমেরিকা বেজিংয়ের বিরুদ্ধে মেধাস্বত্ব ‘চুরি’র অভিযোগ এনেছে। চিনে লগ্নি করা বিভিন্ন মার্কিন সংস্থাকে বেজিং প্রযুক্তি হস্তান্তরে বাধ্য করে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া ৩৭,৫০০ কোটি ডলার বাণিজ্য ঘাটতি ওয়াশিংটনের পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব। তা প্রায় এক মাসে ১০ হাজার কোটি ডলার কমানোর দাবি জানান ট্রাম্প, যা নস্যাৎ করে চিন শুল্ক বসানোর পথে হেঁটেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE