বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনের (বিজিবিএস) দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে বাংলার ঝুলি ভরাল ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পে (এমএসএমই) বড় অঙ্কের লগ্নি-প্রস্তাব। বৃহস্পতিবার এর মধ্যে বস্ত্রে এসেছে প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকার প্রস্তাব। তাইল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে রাজ্যের অঙ্কুরহাটির গয়নাতালুকেরও।
এ দিন বস্ত্র শিল্পের একাধিক সংস্থা রাজ্যে নতুন লগ্নির কথা বলেন। নতুন কারখানা তৈরি এবং পুরনোর সম্প্রসারণ, দু’ধরনের প্রস্তাবই রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য লগ্নি হল, বনি গোষ্ঠীর ৫০০ কোটি, রাজ্যে তিনটি বেসরকারি বস্ত্র পার্ক গড়তে রামনিবাস গোষ্ঠীর ১৩০০ কোটি এবং হোসিয়ারি পার্ক তৈরির জন্য পশ্চিমবঙ্গ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের ৪০০ কোটি টাকা।
তাইল্যান্ডের রত্নালঙ্কার শিল্পের সংগঠন জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অঙ্কুরহাটি গয়না পার্ক কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয়েছে বিভিন্ন রঙিন পাথরের মান যাচাইয়ের প্রযুক্তি এবং তার প্রশিক্ষণ নিয়ে। ছোট সংস্থাগুলিকে প্রতিরক্ষায় আরও বেশি লগ্নির ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে এই লক্ষ্যে রাজ্যের নীতি আনার কথা থাকলেও, আসেনি। গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স, ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টারি কিংবা হ্যালের প্রতিনিধিদেরও অনুযোগ, পূর্ব ভারতে প্রতিরক্ষায় জোট বেঁধে ব্যবসা করার এমএসএমই নেই। পণ্যের মান ধরে রাখতে পারেন না অনেকেই। রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প সচিব রাজেশ পাণ্ডে জানান, প্রতিরক্ষায় ছোট শিল্পের অংশগ্রহণ বাড়াতে রাজ্য পদক্ষেপ করছে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)