হালে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বেচতে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের (ইটিএফ) হাত ধরছে কেন্দ্র। সেই পথে হেঁটে এ বার নতুন একটি ইটিএফ প্রকল্প, ভারত-২২ তৈরি করল তারা। যার আওতায় থাকছে ছ’টি শিল্পের মোট ২২টি বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার।
ভারত-২২ কেন্দ্রের তৈরি দ্বিতীয় ইটিএফ। এর আগে গত অর্থবর্ষে প্রথম কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার (সিপিএসই) ইটিএফ আনে তারা। যেখান থেকে তিন দফায় ওঠে ৮,৫০৯ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এ দিন জানান, নতুন ইটিএফ-টি ভোগ্যপণ্য, আর্থিক, বিদ্যুৎ-সহ ছ’টি ক্ষেত্রের শেয়ার নিয়ে তৈরি হয়েছে। তাঁর দাবি, ‘‘প্রতিটি ক্ষেত্র বেছে নেওয়ার সময় আমরা সেগুলির সংস্কারের বিষয়টি মাথায় রেখেছি। যা তাদের শেয়ারের মূল্যায়নের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে।....আমাদের বিশ্বাস, এই ইটিএফ সাফল্যের মুখ দেখবে।’’
প্রসঙ্গত, ইটিএফ একটি মিউচুয়াল ফান্ড। এর ইউনিট শেয়ারের মতোই কেনা-বেচা হয় স্টক এক্সচেঞ্জে। লগ্নির অঙ্কের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীরা পান ইউনিট। প্রথম বার ইটিএফ বাজারে ছাড়ার সময় ইউনিট কেনা যায়। পরেও তা লেনদেন হতে থাকে বাজারে। সুবিধা হল, ওই ইউনিট শেয়ার বাজারে বেচে লগ্নিকারী নগদ টাকা পেতে পারেন।
নতুন ইটিএফের আওতায় থাকছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা (ভারত ইলেকট্রনিক্স, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া, এনটিপিসি, এনএইচপিসি, গেইল এনবিসিসি ইত্যাদি), তিন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক (স্টেট ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব বরোদা), অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে কেন্দ্রের হাতে থাকা শেয়ার। থাকছে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউনিট ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার সম্পদ কেনার জন্য তৈরি কেন্দ্রীয় সংস্থা সুটির মাধ্যমে সরকারের হাতে থাকা আইটিসি এবং এল অ্যান্ড টি-র শেয়ারও। অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির মধ্যে তেল-গ্যাস, কয়লা ও খনন ক্ষেত্রের ওএনজিসি, আইওসি, বিপিসিএল, কোল ইন্ডিয়া ও নালকো-ও সামিল।
উল্লেখ্য, হালে ইটিএফে গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের যে টাকা তারা বাজারে খাটাচ্ছে, তা-ও করা হচ্ছে ইটিএফের মাধ্যমেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy