ছবি: সংগৃহীত।
শুধুমাত্র গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির সংস্থা নয়। সেই গণ্ডি পেরিয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও ভারতে লগ্নির ইঙ্গিত দিয়েছিল জার্মান বহুজাতিক বশ। আজ বেঙ্গালুরুতে তাদের এমনই আধুনিক অফিস চালুর প্রাক্কালে আগামী পাঁচ বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ২০০০ কোটি টাকার (২৫০ মিলিয়ন ইউরো) লগ্নি প্রস্তাবের কথা জানাল বশ ইন্ডিয়া। পরে অইনলাইনে দফতরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দেশে ব্যবসার শতবর্ষ পেরনো ওই সংস্থাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বার্তা, আগামী ২৫ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করুক তারা। ভারতের ডিজিটাল প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছেও লগ্নির আর্জি জানান তিনি।
একশো বছর আগে কলকাতায় ব্যবসার গোড়াপত্তন করার পরে তা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভারতে ১৮টি কারখানা এবং ৭টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র গড়েছে বশ। গাড়ি এবং সার্বিক ভাবে আধুনিক শহর ও কর্মজগতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। তাই যন্ত্রাংশ ও গাড়ির প্রযুক্তির সঙ্গে সেই সব ক্ষেত্রে আরও বেশি করে পা রাখতে আগ্রহী বশ ও তাদের ভারতীয় শাখা। ৮০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি নতুন ক্যাম্পাসেও যার প্রতিফলন সর্বত্র। সংস্থার দাবি, সেই সব প্রযুক্তি কাজের দক্ষতা বাড়াবে, পরিবেশের উন্নতি করবে, প্রায় দশ হাজার সহযোগীকে জায়গাও দিতে পারবে।
ভারত যে তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তা আরও স্পষ্ট হয় মূল সংস্থা রবার্ট বশের পরিচালন পর্ষদের সদস্য ফিলিৎস আলব্রেখটকে এ মাস থেকে ভারতের দায়িত্ব দেওয়ার কথা যখন আলাদা ভাবে জানায় তারা। তিনি এ দিন আগামী পাঁচ বছরে ভারতে তাঁদের ওই লগ্নি পরিকল্পনার কথা জানান।
প্রচলিত ক্ষেত্রের সঙ্গে বৃহত্তর প্রযুক্তি ক্ষেত্র যে এখন তাঁদের নজরে, তা খোলসা করেন বশ ইন্ডিয়ার এমডি তথা প্রেসিডেন্ট সৌমিত্র ভট্টাচার্য। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারী বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে ডিজ়েলের সঙ্গে হাইড্রোজেন ব্যবহারের প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করার ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে দু’জনেরই মতে, আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিকে ভারতের বাজার ও চাহিদার উপযোগী করে কার্যকর করতে হবে। সরাসরি সেই প্রযুক্তি বা অন্য দেশে ব্যবহৃত প্রযুক্তি এ দেশে চাপিয়ে দিলে হবে না। বাজারও সাধ্যের মধ্যেও হওয়া জরুরি, দাবি সৌমিত্রর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy