মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কবাণে ক্ষতবিক্ষত ভারত। অন্য দিকে ডলারের নিরিখে টাকার দাম ৯০-এর ঘর পেরিয়ে যাওয়ায় নয়াদিল্লির বেড়েছে উদ্বেগ। শুধু তা-ই নয়, বিদেশি লগ্নিকারীরা মুখ ফিরিয়ে থাকায় কিছুতেই চাঙ্গা হচ্ছে না শেয়ার বাজার। এই পরিস্থিতিতে বড়দিনের আগে সুখবর শোনাল ‘ব্রুকফিল্ড কর্পোরেশন’। এ দেশে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে কানাডার এই বহুজাতিক সংস্থা। এর ফলে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকছে বলেও জানিয়েছে তারা।
গত শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের পোওয়াইয়ে ‘গ্লোবাল কেপেবিলিটি সেন্টার’ বা জিসিসি তৈরির কথা ঘোষণা করে ব্রুকফিল্ড। ছয় একর জমির উপর ওই কেন্দ্রটি গড়ে উঠবে বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের সরকার। সংশ্লিষ্ট জিসিসির ২০ লক্ষ বর্গফুট জায়গা বিভিন্ন ভাবে ইজারা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। এর জন্য কানাডার বহুজাতিক সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তি সেরেছে তারা।
মহারাষ্ট্র সরকারের দাবি, মুম্বইয়ে এশিয়ার বৃহত্তম ‘গ্লোবাল কেপেবিলিটি সেন্টার’ গড়ে তুলবে ব্রুকফিল্ড। ২০২৯ সাল পর্যন্ত এতে ধাপে ধাপে আসবে বিনিয়োগ। লগ্নি বেড়ে ১০০ কোটি ডলার বা তার বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ৩০ হাজারের বেশি সরাসরি কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন মরাঠাভূমির মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস।
সূত্রের খবর, সম্পূর্ণ সবুজ শক্তির দ্বারা চালিত হবে মুম্বইয়ের ওই জিসিসি। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন ব্রুকফিল্ডের সিনিয়র ইনভেস্টমেন্ট অফিসার অঙ্কুর গুপ্ত। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বমানের জিসিসি তৈরি করাটা আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। মুম্বইয়ের প্রকল্প এশিয়ার অফিস পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে।’’
গত কয়েক বছর ধরেই মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করছে ‘ব্রুকফিল্ড’। ২০২৪ সালে পুণেয় একটি আর্থিক পরিষেবা সংস্থার জন্য ‘বিল্ট-টু-স্যুট’ টাওয়ার তৈরি করে দেয় তারা। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজ চলাকালীনই কানাডার সংস্থাটির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক বা মউ (মেমরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং) সই করে ‘মুম্বই মেট্রোপলিটান রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’। তাতে ১,২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের কথা বলা হয়। এ বছরের জুনে বান্দ্রা-কুর্লা কমপ্লেক্সে ২.১ একর জমি অধিগ্রহণ করে ‘ব্রকফিল্ড’-এর হাতে তুলে দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন:
কানাডার সংস্থাটির ভারতের বাজারে বৃহত্তম অফিস অপারেটর হিসাবে যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে। বর্তমানে দেশের ২৭টি শহরে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ বর্গফুটের অফিস ঘর ভাড়া বা লিজ় দিয়ে রেখেছে তারা। মুম্বইয়ের মেগা প্রকল্পটিও যে এর থেকে আলাদা নয়, তা বলাই বাহুল্য।