প্রায় দু’দশক বাদে পর পর দু’টি ত্রৈমাসিকে লাভের মুখ দেখল রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থা বিএসএনএল। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২৬২ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছিল। চতুর্থ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি-মার্চ) তা আরও বেড়ে হল ২৮০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ সালের একই সময় সংস্থাটির ৮৫০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছিল।
তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মুনাফায় চমক থাকলেও বিএসএনএলের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন বহাল। আদতে তা কতটা উন্নত হয়েছে, সন্দেহ আছে। বহু দিন ধরেই এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে। তার উপর তাদের ৪জি এসেছে অনেক দেরিতে। তত দিনে বেসরকারি শিল্প ৫জি এনেছে। একাংশের দাবি, অসন্তোষের প্রমাণ নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি প্রায় ১৬ লক্ষ গ্রাহকের সংস্থা ছাড়া। পরিষেবার মান যথাযথ নয় বলে অভিযোগ অনেকের। টেলি নিয়ন্ত্রক ট্রাই নিয়মিত যে মান যাচাই করে, তাতেও বিএসএনএল পিছনের সারিতে। তাই এই মুনাফা কতটা পরিষেবা দেওয়ার কারণে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে প্রায় সব মহল।
টেলিমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া অবশ্য জানান, ২০০৭-এর পরে টানা
দু’ত্রৈমাসিকের লাভকে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে দেখা উচিত। ১০টি
সার্কলই মুনাফা করেছে। ফলে বছরের হিসাবে ক্ষতিও কমে হয়েছে ২২৪৭ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ সালে ছিল ৫৩৭০ কোটি। সংস্থার সিএমডি রবার্ট রবির মতে, ‘‘পেশাদার ব্যবস্থাপনা, সরকারি সহায়তা, সংস্থা পরিচালনা ও কর্মীদের পরিশ্রমেরই ফল এই বদল।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)