Advertisement
E-Paper

গ্রাহক হাজির, কিন্তু কর্তারা কোথায়!

সংস্থা বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর ও কলকাতার টেরিটিবাজারের আঞ্চলিক দফতরে গ্রাহকদের বৈঠক ডেকেছিল। আমন্ত্রণ যায় এসএমএসে।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৪

ভাগ্যিস, অন্তত কয়েক জন কর্মী ছিলেন! না হলে গ্রাহকদের মুখোমুখি বসতে ডাকা বিএসএনএলের শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্সের (ক্যালটেল) বৈঠক হত কি না কে জানে।

সংস্থা বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর ও কলকাতার টেরিটিবাজারের আঞ্চলিক দফতরে গ্রাহকদের বৈঠক ডেকেছিল। আমন্ত্রণ যায় এসএমএসে। কিন্তু টেরিটিবাজারে ক্যালটেলের অফিসে পৌঁছে হতবাক তাঁরা। আয়োজনের চিহ্ন নেই। কেউ জানেন না কোথায় বৈঠক। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা গিয়েছেন অন্য ‘জরুরি’ কাজে। সদর দফতরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ব্যস্ত এরিয়া ম্যানেজারও। ঘণ্টাখানেক ছুটোছুটির পরে কিছু কর্মী-আধিকারিক শেষে অনুষ্ঠান শুরু করলেন। আর এ সব দেখে ‘তাজ্জব’ গ্রাহকদের প্রশ্ন, কবে আর পেশাদার হবে বিএসএনএল?

এস মুখোপাধ্যায়, প্রদীপ সাহার মতো বহু প্রবীণ গ্রাহক বেলা ৩টের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পৌঁছে যান দফতরে। বার কয়েক চার-পাঁচ তলায় ওঠানামার পরে বসতে পান চার তলায়। বিকল্প বন্দোবস্তের কথা কেউ বলতে পারছেন না তখন। অপেক্ষা করে অনেকে ফিরেও গেলেন। শেষে ৪টে নাগাদ পাঁচ তলায় শুরু হল বৈঠক। ক্যালটেলের জিএম (বিপণন) এস এন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁদের কাজ বৈঠকের এসএমএস পাঠানোর। বাকি দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক দফতরেরই। সমন্বয়ের অভাবের কথা মেনে কর্তাদের একাংশের অবশ্য আশঙ্কা, ভুল বার্তা দেবে এমন ঘটনা।

সমস্যা আরও আছে। রাজারহাটের এস মুখোপাধ্যায় বলেন, তিনি ল্যান্ডলাইন সংযোগ পাচ্ছেন না। বৈঠকে বলা হয়, রাজারহাট এই দফতরের আওতায় নয়, সল্টলেক অফিসের। অথচ এ দিনের বৈঠকের বার্তা গিয়েছিল সব গ্রাহকের কাছেই। ফলে প্রশ্ন উঠছে, আমজনতা এ সব ভেদাভেদ বুঝবেন কী করে?

Customer Meet BSNL BSNL officials
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy