Advertisement
E-Paper

বড় শহর নয়, এখন বাজার বাড়ছে গ্রামেই

মেট্রো শহর নয়। বরং বাজার এখন দ্রুত বাড়ছে গ্রামেই। তা-ও শুধু কৃষিপণ্যের নয়, গ্রামীণ বাজারের পরিধি বাড়ছে সব দিক দিয়েই। সমীক্ষা দেখে এমনই দাবি গ্রামীণ অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৫ ০২:২৭

মেট্রো শহর নয়। বরং বাজার এখন দ্রুত বাড়ছে গ্রামেই। তা-ও শুধু কৃষিপণ্যের নয়, গ্রামীণ বাজারের পরিধি বাড়ছে সব দিক দিয়েই। সমীক্ষা দেখে এমনই দাবি গ্রামীণ অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, গ্রামেই নতুন ব্যবসার সম্ভাবনার সূত্র এখন অনেক বেশি।

বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী, শহরাঞ্চলে, বিশেষত মেট্রো শহরগুলিতে ব্যবসা বৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে। তাই বিপুল গ্রামীণ এলাকার বাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগতে তৎপর সকলেই। যদিও পরিকাঠামোর অভাব সেই বাজার ধরার পথে বাধা হতে পারে।

ধরে নেওয়া হয়, গ্রামীণ অর্থনীতি কার্যত কৃষির উপরই দাঁড়িয়ে। কিন্তু সেই ছবি অনেকখানি বদলেছে এবং দ্রুত বদলাচ্ছেও। গ্রামীণ বাজারের সম্ভাবনা ও সেই সুযোগকে কাজে লাগানোর কৌশল নিয়ে শনিবার বেঙ্গল চেম্বার আয়োজিত আলোচনা সভায় এই বদলে যাওয়া গ্রামীণ অর্থনীতির কথা বললেন উপদেষ্টা সংস্থা ‘মার্ট’-এর সিইও প্রদীপ কশ্যপ।

মার্ট-এর হিসেবে, দেশের আর্থিক সম্পদের ৫০ শতাংশেরই উৎস গ্রামীণ এলাকা। কশ্যপের দাবি, গ্রামীণ অর্থনীতির ৩০ শতাংশের সূত্র কৃষি। সেখানে পরিষেবা ক্ষেত্রের অংশিদারি ৪০%। বাকিটা ছোট-বড় শিল্প। বিমা, ব্যাঙ্ক, শিক্ষার মতো পরিষেবাও গ্রামে দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। তৈরি হচ্ছে নতুন ব্যবসার সুযোগ। সেই পালে হাওয়া জোগাচ্ছে প্রযুক্তি।

গ্রামে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ২০০০ সালের তুলনায় ২০১০-এ বেড়েছে প্রায় ১৭%। যেখানে শহরাঞ্চলে তা ১২%। কশ্যপের দাবি, ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার যাবতীয় পণ্যের চাহিদা গ্রামে দ্রুত উর্দ্ধমুখী। কিন্তু এখনও সার্বিক ভাবে তা অনেক কম। তাই নতুন ব্যবসার সম্ভাবনাও সেখানে অনেক বেশি। সেই কারণেই পরিষেবা ও শিল্পের উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।

তাঁর আরও দাবি, নির্মাণ ব্যবসা গ্রামে অনেক বেশি নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। শহরে অনেকেই ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনেন অতিরিক্ত সম্পদ গড়তে। কিছুটা ফাটকাবাজির জন্য। যাতে পরে তা বেশি দামে বেচা যায়। ফলে শহরে নির্মাণ ব্যবসায় বাড়তি ঝুঁকির জন্য দামের ওঠাপড়া হয়। কিন্তু গ্রামে মূলত থাকার প্রয়োজন মেটাতেই বাড়ি করেন মানুষ। তাই নির্মাণ ব্যবসার ঝুঁকি সেখানে অনেক কম বলে মনে করছেন কশ্যপরা।

কৃষির উৎপাদনশীলতাও এ দেশের অন্যতম সমস্যা। প্রযুক্তির অভাবে তা মার খায়। কৃষিতে যুক্ত মানুষের সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। কশ্যপের দাবি, দেশে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ কৃষির সঙ্গে যুক্ত। যেখানে অন্তত ১০ কোটি অন্য কাজ করতে পারেন।

business possibility rural area rural area business possibility rural area business
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy