মুম্বইয়ে বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধির প্রকল্পে জালিয়াতির অভিযোগে টাটা কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং (টিসিই) এবং জওহরলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্টের দুই প্রাক্তন কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গেয়েন্দা সংস্থার বক্তব্য, এই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৮০০ কোটি টাকার বেশি জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। বন্দরের ড্রেজ়িংয়ের খরচ বাড়িয়ে দেখানো, নির্দিষ্ট সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া-সহ বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে তাঁদের হাত ধরে। গত তিন বছর তদন্ত চালানোর পরে অবশেষে অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই।
সিবিআইয়ের এফআইআরে অভিযোগ আনা হয়েছে টিসিই-র প্রাক্তন প্রজেক্ট ডিরেক্টর দেবদত্ত বসু এবং জওহরলাল নেহরু বন্দরের প্রাক্তন মুখ্য প্রযুক্তিবিদ সুনীল কুমার মাদাভাবির বিরুদ্ধে। দু’টি ড্রেজ়িং সংস্থার নামও রয়েছে অভিযোগে। চলতি সপ্তাহে মুম্বই, চেন্নাই-সহ দেশের পাঁচ জায়গায় বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি চালায় তদন্তকারী সংস্থাটি। বাজেয়াপ্ত করে বেশ কিছু নথি।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জওহরলাল নেহরু বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধি করে তাকে মুম্বই বন্দরের সঙ্গে যোগ করার লক্ষ্যে ২০০৩ ড্রেজ়িংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১০ সালে এই সংক্রান্ত সবিস্তার রিপোর্ট জমা দেয় টাটা গোষ্ঠীর সংস্থাটি। এর পাশাপাশি, দরপত্র-সহ গোটা প্রক্রিয়ার জন্য পরামর্শদাতা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিল টিসিই। সিবিআইয়ের অভিযোগ, বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে টাটার সংস্থার এই প্রাক্তন কর্মী বেশ কয়েকটি সংস্থাকে আলাদা ভাবে সুবিধা পাইয়ে দেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত বেআইনি সুবিধা দেওয়া হলেও সিবিআই ২০১৯ সাল পর্যন্ত নথি খতিয়ে দেখছে।
অভিযোগ
বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধির প্রকল্পে অনিয়ম।
বিভিন্ন সংস্থাকে বেআইনি সুবিধা পাইয়ে দেওয়া।
৮০০ কোটি টাকা তছরুপ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)