E-Paper

ক্রেতার কাছে সুবিধা পৌঁছোবে তো? কী হবে পুরনো জিনিসের দাম? যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রের

প্রশ্ন উঠেছিল, আগে তৈরি হয়ে থাকা পণ্যগুলি তখন কী দামে বিক্রি হবে? জিএসটি কমানোর সুবিধা পাওয়া গেল কি না, সেটাই বা কী ভাবে বুঝবেন ক্রেতা? এই সব প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল ক্রেতাসুরক্ষা দফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৪

—প্রতীকী চিত্র।

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে জিএসটির সংশোধিত হার। সে দিন থেকে তৈরি প্রতিটি পণ্যে কার্যকর হবে নতুন হারে কর। ফলে বেশির ভাগ পণ্যের দামও সেই অনুযায়ী কমার কথা। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছিল, আগে তৈরি হয়ে থাকা পণ্যগুলি তখন কী দামে বিক্রি হবে? জিএসটি কমানোর সুবিধা পাওয়া গেল কি না, সেটাই বা কী ভাবে বুঝবেন ক্রেতা? এই সব প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল ক্রেতাসুরক্ষা, খাদ্য এবং গণবণ্টন মন্ত্রকের অধীন ক্রেতাসুরক্ষা, ওজন এবং পরিমাপ বিষয়ক দফতর। জানাল, অবিক্রীত পণ্যের মোড়কে পুরনো ও নতুন, দুই হারে জিএসটি-সহ বিক্রির সর্বোচ্চ দাম (এমআরপি) আলাদা উল্লেখ করতে হবে। তবে পণ্য বিক্রি করতে হবে নতুন দামেই। ওই ব্যবস্থা সেটির উৎপাদক, বণ্টনকারী (ডিস্ট্রিবিউটার), আমদানিকারী, খুচরো বিক্রেতার মতো বিক্রির প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষের জন্যেই প্রযোজ্য হবে।

ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, ‘‘এতে ক্রেতা-বিক্রেতার স্বার্থ রক্ষা হবে। বিক্রেতা জমে থাকা পণ্য সহজে বিক্রি করতে পারবেন। ক্রেতারাও পাবেন ২২ সেপ্টেম্বরের আগে তৈরি পণ্যে কম করের সুবিধা।’’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর বা পুরনো মজুত শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যেটা আগে ঘটবে) পুরনো এবং নতুন, দু’টি দামের লেবেলই লাগাতে হবে।

এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যবসায়ী মহল। রাজ্যে তাদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন্সের সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, ‘‘জিএসটির পুরনো ব্যবস্থা থেকে নতুন ব্যবস্থায় উত্তরণের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করবে এই পদক্ষেপ। জমে থাকা পণ্য কী ভাবে বিক্রি করা হবে, মানুষ তা কিনতে চাইবেন কি না, দাম কমানোর বিষয়টি ক্রেতাকে বিশ্বাস করানো হবে কী করে, এ সব নিয়ে ব্যবসায়ীদের মনে ধন্দ ছিল। কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তির পরে তা কেটেছে।’’ সম্প্রতি স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলিও বলেছিল, প্রায় ২০০০ কোটি টাকার জিনিস অবিক্রীত। সেগুলি বিক্রি করতে সময় লাগবে। বাড়তি ওই সময়মঞ্জুর না হলে বিপুল লোকসান গুনতে হবে ব্যবসায়ীদের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে— পুরনো এমআরপির উপর নতুন এমআরপি লেখা (ওভাররাইট) যাবে না। আলাদা করে জানাতে হবে। জোশীর দাবি, জিএসটির হার হ্রাস কিংবা বৃদ্ধির পরে কোন পণ্যের দাম কত কমল বা বাড়ল, ক্রেতাকে তা স্পষ্ট জানানোই এর উদ্দেশ্য। এ জন্য এক বা একাধিক সংবাদপত্রে দু’বার বিজ্ঞাপনও দিতে হবে পণ্য তৈরি এবং বিপণনের সঙ্গে যুক্ত থাকা বিভিন্ন পক্ষকে।

জিএসটি-নির্দেশ

পুরনো জিএসটি ব্যবস্থায় তৈরি ও অবিক্রীত পণ্যে পুরনো ও নতুন, দুই হারে জিএসটি-সহ দাম (এমআরপি) আলাদা করে সাঁটতে হবে। পুরনোর উপরে নতুন লেখা যাবে না।

পণ্য অবশ্য বিক্রি হবে নতুন দামেই।

এক বা একাধিক সংবাদপত্রে দিতে হবে দাম বৃদ্ধি বা হ্রাসের বিজ্ঞাপনও।

নোটিস পাঠাতে হবে বণ্টনকারী (ডিস্ট্রিবিউটর) এবং বিক্রেতাদের (ডিলার)

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

market price New GST Slab Central Government Consumers

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy