প্রতীকী ছবি।
অভিযোগ ছিল, দীর্ঘ দিন জিএসটি রিফান্ডের টাকা আটকে থাকায় পুঁজিতে টান পড়ছে ছোট-মাঝারি শিল্পের। সেই সমস্যা দ্রুত মেটাতে ওই শিল্পের সব বকেয়া রিফান্ড ৩০ দিনের মধ্যে মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিল কেন্দ্র। একই সঙ্গে, এ বার থেকে ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি সংস্থাকে জিএসটি রিফান্ডের টাকা আবেদনের ৬০ দিনের মধ্যেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল তারা।
দেশের জিডিপি-র ২৯% আসে ছোট-মাঝারি শিল্প থেকে। কর্ম- সংস্থানের বড় অংশও হয় ওই সব সংস্থায়। কিন্তু জিএসটি চালুর পর থেকেই সময়ে রিফান্ডের টাকা না পাওয়ায় মূলধনে টান পড়ার কথা বলছিল তারা। সেই অভিযোগ আরও তীব্র হয়েছে এনবিএফসি ও ব্যাঙ্ক থেকে
ঋণ মেলে কঠিন হওয়ায়। অথচ বৃদ্ধির চাকায় গতি ফেরাতে ওই ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করা জরুরি। সে কথা মেনেই এ দিন ওই রিফান্ড-সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কেন্দ্রের আমলারাও কবুল করেছেন, যে কোনও সময়ে ওই খাতে দেশে গড় বকেয়া ৭,০০০ কোটি টাকা। তবে এখন তা কত, তা স্পষ্ট করেননি তাঁরা।
সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ছোট শিল্পের সংজ্ঞা বদলে এমএসএমই আইন পাল্টানোয় উদ্যোগী হবে কেন্দ্র। বকেয়া নিয়ে ব্যাঙ্কের সঙ্গে এককালীন সমঝোতার সুবিধা পাবে ছোট সংস্থা। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্ক, এনবিএফসির-র থেকে এই শিল্পের ঋণ পাওয়ার পথও মসৃণ করার চেষ্টা হয়েছে। নির্মলা বলেছেন, সহজে ধার পাওয়া থেকে প্রযুক্তি ও বিপণনে দক্ষতা বাড়ানো পর্যন্ত সব বিষয়ে ইউ কে সিন্হা কমিটি যে সুপারিশ জমা দিয়েছে, ৩০ দিনের মধ্যে তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।
নির্মলার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ছোট-মাঝারি শিল্পমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। তাঁর দাবি, দ্রুত রিফান্ডের এই সিদ্ধান্তে অবশ্যই এই শিল্পের সুবিধা হবে। তার জেরে তৈরি হবে বাড়তি কাজের সুযোগও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy