—প্রতীকী চিত্র।
বাজেটে বছরে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগারের ক্ষেত্রে আয়কর শূন্যে নামিয়ে এনেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের বড় অংশের দাবি, এর ফলে হাতে থেকে যাওয়া বাড়তি টাকা সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্য কিনতেই খরচ করবেন। স্টেট ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিকতম সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাজেটে করছাড়ের সীমা বৃদ্ধির ফলে জনগণের হাতে বছরে অতিরিক্ত প্রায় ১.২ লক্ষ টাকা থাকবে। আর এই টাকার অনেকটাই যাবে খাদ্য-সহ বিবিধ ভোগ্যপণ্যে। ফলে বছরে অতিরিক্ত প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা প্রবেশ করতে চলেছে এই ক্ষেত্রে। তাতে অর্থনীতির গতি বাড়বে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির অর্থ রাজকোষে আরও কর জমা হওয়া। স্টেট ব্যাঙ্কের সমীক্ষায় দাবি, এই খাতে সরকারের ৪০,০০০ কোটি টাকা (মূলত জিএসটি) আসতে পারে। তার থেকে রাজ্যগুলি পেতে পারে প্রায় ২৮,০০০ কোটি। ফলে কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই পক্ষের কাছেই এই বাজেট ইতিবাচক হতে চলেছে। আইটিসি-র চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরী বলেন, ‘‘সবচেয়ে উপকৃত হবে ভোগ্যপণ্য শিল্প। চাহিদা কয়েক গুণ বাড়বে। কর কমানোর সিদ্ধান্ত সকলের জন্যই ইতিবাচক।’’
বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বারের অর্থনীতির বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান স্মরজিৎ মিত্র স্বীকার করছেন, এর মাধ্যমে ভোগ্যপণ্যের বাজার বৃদ্ধি এবং সরকারের কর আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে। জয় পার্সোনাল কেয়ারের চেয়ারম্যান সুনীল আগরওয়াল বলেন, ‘‘সাবান, শ্যাম্পু, ক্রিম, পাউডারের মতো ভোগ্যপণ্যের বিক্রি অনেকটাই বাড়াবে।’’ কর বিশেষজ্ঞ অরবিন্দ আগরওয়ালের কথায়, ‘‘চাহিদা বাড়ানো এবং আর্থিক স্বাস্থ্য দু’টিই এই বাজেটে সুচারু ভাবে দেখা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy