প্রতীকী ছবি।
অর্থনীতিতে গতি আনতে দেশ জুড়েই যে খরচ বাড়ানো জরুরি, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছে মোদী সরকার। তাই রাজ্যগুলি যাতে পরিকাঠামোয় আরও বেশি ব্যয় করতে পারে, সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় করের ভাগের দুই কিস্তির টাকা একসঙ্গে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রক। জানুয়ারিতে রাজ্যগুলির মধ্যে ৪৭,৫৪১ কোটি টাকা ভাগ করে দেওয়ার কথা ছিল তাদের। তবে আদতে দেওয়া হচ্ছে তার দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৯৫,০৮২ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ পাবে প্রায় ৭১৫৩ কোটি।
সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্যগুলি যাতে পরিকাঠামোয় খরচ করতে বেশি উৎসাহ দেখায়, তার জন্য আসন্ন বাজেটেও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করতে পারেন। আনা হতে পারে উৎসাহ বাড়ানোর কিছু ব্যবস্থা। গত বাজেটে পরিকাঠামোয় বেশি খরচ করলে রাজ্যগুলিকে বাড়তি ঋণ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। আগামী অর্থবর্ষেও তা চালু থাকতে পারে। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, চেষ্টা করা হচ্ছে পরিকাঠামোয় কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়েই মোট খরচের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করার। যাতে দু’পক্ষ মিলে একসঙ্গে কাজ করা যায়।
কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে গত বাজেটে অর্থমন্ত্রী মূলত পরিকাঠামো বা নতুন সম্পদ তৈরিতে বাড়তি খরচেই বেশি জোর দিয়েছিলেন। যাতে বৃদ্ধির হার মাথা তোলে। নতুন কর্মসংস্থান হয়। সিমেন্ট, ইস্পাতের মতো ক্ষেত্রেও চাহিদা বাড়ে। যে কারণে গত অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে প্রায় ২৬% বেশি খরচ বরাদ্দ হয়েছিল পরিকাঠামোয়। তবে বাস্তবে কেন্দ্র সেই খরচ বিশেষ বাড়াতে পারেনি। রাজ্য স্তরেও পরিকাঠামোয় খরচের গতি বাড়েনি।
সেই খরচে গতি বাড়াতে তাই গত নভেম্বরে নির্মলা রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই ঠিক হয়, রাজ্যের হাতে নগদের জোগান বাড়াতে কেন্দ্রীয় করের ভাগ বাবদ অর্থ আগাম পাইয়ে দেওয়া হবে। অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে ওই করের ৪১% রাজ্যগুলির মধ্যে ভাগ করে দেয় কেন্দ্র। বছরে ১৪টি কিস্তিতে তা দেওয়া হয়। প্রতি মাসে এক কিস্তি, অর্থবর্ষের শেষে বাড়তি দুই কিস্তি। শেষের দুই কিস্তির একটি নভেম্বরেই দিয়েছিল কেন্দ্র। এ বার আরও এক কিস্তি দেওয়া হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, বাজেটের প্রাথমিক অনুমানের তুলনায় রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত ৯০,০৮২ কোটি টাকা পেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy