নতুন আইন আনা নয়। বরং বর্তমানে চালু থাকা আইনের হাত ধরেই কৃত্রিম মেধাকে (এআই) নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছে কেন্দ্র। সম্প্রতি এক কর্মসূচিতে এ কথা জানিয়ে বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি সচিব এস কৃষ্ণন বলেন, ‘‘দেশে প্রচুর আইন রয়েছে। ...ফলে আমি মনে করি, একমাত্র একান্ত প্রয়োজন ছাড়া নতুন আইন বা নিয়ম আনা থেকে বিরত থাকা উচিত। দেখা দরকার বর্তমান আইন দিয়েই কী ভাবে তা (এআই) পরিচালনা করা যায়।’’ তাঁর আরও দাবি, কৃত্রিম মেধাকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট। সরকার চায় না কোনও ভাবে উদ্ভাবনের রাস্তায় পাঁচিল তুলতে। তবে কিছু কাজ যেমন এই প্রযুক্তির ফলে মুছে যাবে সেটা মেনে সচিবের বার্তা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন কাজও তৈরি হবে।
সারা বিশ্বেই তথ্যপ্রযুক্তি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত বাড়ছে কৃত্রিম মেধার ব্যবহার। তা যেমন মানুষের প্রয়োজনে কাজে লাগছে, তেমনই মাথা তুলছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে জালিয়াতি এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ। পাশাপাশি, নেট দুনিয়ায় ঘুরতে থাকা বহু তথ্য-ছবি-ভিডিয়ো তৈরির জন্যও একে কাজে লাগানো হচ্ছে। ফলে সেগুলির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব জুড়েই এআই-কে নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গ বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে।
সচিবের দাবি, মেধাসত্ব আইন ওনতুন ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইনে কৃত্রিম মেধার অনেকগুলি বিষয়ই ধরা হয়েছে। এ বার কেন্দ্র দেখবে তা নিয়ন্ত্রণে আলাদা নির্দেশিকার প্রয়োজন আছে কি না। সে ক্ষেত্রে এই নতুন প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, এমন নিয়ম আনাতেই জোর দেওয়া হবে। বিশেষত, কৃষি, উৎপাদন, স্বাস্থ্য এবং আর্থিক পরিষেবার মতো ক্ষেত্রের কথা ভাবা হচ্ছে, যেখানে এআই মানুষের কাজে লাগতে পারে। তবে প্রযুক্তি যদি ক্ষতি করে, তা সরকার বরদাস্ত করবে না বলেও স্পষ্ট করেছেন তিনি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)