পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রাণহানি এবং প্রচুর আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। তাই জলবায়ু ভিত্তিক বিমা প্রকল্প আনা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, রাজ্যগুলিতে বন্যা, ভূমিকম্প, খরা-সহ বিভিন্ন দুর্যোগের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা বিমার মাধ্যমে করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট শিল্প ও নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ-র সঙ্গে কথা বলছে তারা। এখনও পর্যন্ত অবশ্য সরকারের তরফে এর প্রস্তাব জমা পড়েনি। মন্তব্য করেনি কেন্দ্র বা নিয়ন্ত্রকও। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই বিমা চালু হলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সরকারেরও সুবিধা হবে। কারণ, বর্তমানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ খাতে বেশির ভাগ অর্থ তাদেরই খরচ করতে হয়।
সূত্রের দাবি, জলবায়ু বিমার আওতায় কোন বিষয়গুলিকে আনা যায়, তা খতিয়ে দেখতে কথা বলছে জাতীয় বিপর্যয় মোকবিলা কর্তৃপক্ষ, অর্থ মন্ত্রক, রাষ্ট্রায়ত্ত পুনর্বিমা সংস্থা জেনারেল ইনশিয়োরেন্স কর্পোরেশন এবং প্রথম সারির কিছু বিমা সংস্থা। এই বিমায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছলে পাওয়া যাবে টাকা। সেই মাত্রার মাপকাঠি তৈরি করা হবে। বিমার মাধ্যমে কত টাকা মিলবে, তা প্রকল্প কেনার আগেই ওই মাপকাঠির ভিত্তিতে স্থির করা থাকবে। পুনর্বিমা কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন রামস্বামী নারায়ণন বলেন, ‘‘লক্ষ্য করছি দেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘনঘন ঘটছে এবং ব্যাপকতাও বাড়ছে। তাই বিমা নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা শুরু হয়েছে।’’
ভারতে এখনও অবশ্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে ক্ষতি হলে কিছু প্রকল্পে বিমার টাকা পাওয়া যায়। পাশাপাশি, কেন্দ্রের তরফে এ ধরনের বিমার ব্যবস্থা না থাকলেও, কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্য ও বিমা সংস্থা পরীক্ষামূলক ভাবে তা চালু করেছে। রাজস্থান. গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোনোয় প্রায় ৫০,০০০ মহিলা আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন। রাজ্য হিসেবে ২০২৪ সালে দেশে প্রথম জলবায়ু বিমার সুবিধা পেয়েছে নাগাল্যান্ড। কেরলের একাংশে পশুপালকদের জন্য বিমা রয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)