ফাইল চিত্র।
অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে অর্থনীতি। এই অবস্থায় ১২ অক্টোবর থেকে পরের অর্থবর্ষের (২০২২-২৩) বাজেট প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে অর্থ মন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, করোনার মধ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ৯.৫ শতাংশের সংশোধিত পূর্বাভাসের থেকে কম হলেও গত অর্থবর্ষে জিডিপি-র সাপেক্ষে মাত্রা ছাড়িয়েছে (৯.৩%) রাজকোষ ঘাটতি। ফলে আসন্ন বাজেটে চাহিদা বাড়ানো, কাজ তৈরি এবং আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষা করে স্থায়ী ভাবে ভারতকে ৮ শতাংশের বেশি বৃদ্ধির গণ্ডিতে ফেরানোই পাখির চোখ হওয়া উচিত মোদী সরকারের।
সম্প্রতি আর্থিক বিষয়ক দফতরের বাজেট বিভাগ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১২ অক্টোবর থেকে বাজেট বৈঠক শুরু হয়ে চলবে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। এর মধ্যে আর্থিক উপদেষ্টা, অন্যান্য সচিবের সঙ্গে ব্যয়সচিবের বৈঠকের পরে বাজেট বরাদ্দ স্থির হবে। সেই সঙ্গে দেখা হবে কেন্দ্রীয় প্রকল্প এবং কেন্দ্রীয় অনুদানের পরিস্থিতিও।
উল্লেখ্য, ২০১৯-এ ক্ষমতায় ফেরার পরে এটা হবে দ্বিতীয় দফার মোদী সরকারের চতুর্থ বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনেরও। এই দু’বছরেই প্রথমে অর্থনীতির ঝিমুনি এবং পরে করোনার জেরে বাজেটের বাইরেও ত্রাণ প্রকল্প আনার মতো নানা পদক্ষেপ করতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু তার বেশির ভাগই দীর্ঘ মেয়াদি। যার ফল এখনও সে ভাবে মেলেনি বলে মত অনেকের।
আবার অতিমারির মধ্যেই চলতি অর্থবর্ষে ১০.৫% বৃদ্ধির পূর্বাভাস করেছে কেন্দ্র। লক্ষ্য, ঘাটতিকে ৬.৮ শতাংশে বাঁধাও। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই অবস্থায় করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানির মধ্যে আগামী বাজেট প্রক্রিয়া কেন্দ্রের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy