প্রতীকী ছবি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে শেয়ার বাজার অস্থির ছিল। তাই মার্চে প্রথম বার বাজারে বিক্রির জন্য এলআইসি-র শেয়ার (আইপিও) আনতে পারেনি কেন্দ্র। কিন্তু এপ্রিলের অর্ধেকের বেশি পেরিয়েও ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থামেনি। উল্টে মূল্যবৃদ্ধি চড়েছে। মাঝেমধ্যে চাঙ্গা হলেও, শেয়ার সূচক এখনও টালমাটাল। সরকারি সূত্রের খবর, তা সত্ত্বেও চলতি সপ্তাহেই এলআইসি-র আইপিও আনার দিনক্ষণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।
তবে অর্থনীতির ঝুঁকির প্রশ্নে বাজারের অনিশ্চয়তা না কাটায় আইপিও নিয়ে টানাপড়েনও বহাল। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, অস্থির সূচক কখনও লাগাতার পড়ছে, কখনও আচমকা লাফিয়ে উঠছে অনেকটা। তার উপরে ভারতে শেয়ার বিক্রির মেজাজে রয়েছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। যুদ্ধ এবং মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম না পড়লে শেয়ার বাজারের অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তা কাটবে না। যদিও এলআইসি-র শেয়ার কিনবেন বলে বহু লগ্নিকারী দিন গুনছেন, তবু একাংশের প্রশ্ন, পরিস্থিতি শোধরানোর আগে সেই প্রক্রিয়া শুরু করা ঝুঁকির নয় কি? সংশ্লিষ্ট সূত্রটিরই বক্তব্য, খুচরো এবং দেশীয় লগ্নিকারীদের চাহিদা পূরণ করতে আইপিও নিয়ে এগোনো উচিত নাকি ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা থামা এবং বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির ভারতে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন। তবে এই অবস্থায় ৫ শতাংশের বেশি অংশীদারি বেচবে না সরকার। শেয়ারের দাম এমন ভাবে স্থির হবে, যাতে বাজারে নথিবদ্ধ হওয়ার দিন দর ওঠে এবং লগ্নিকারীরা উপকৃত হন।
সেবির নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ার বিক্রির জন্য ১২ মে পর্যন্ত সময় আছে এলআইসি-র। তার পরে নতুন করে সমস্ত তথ্য ও নথিপত্র জমা দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy