বিভিন্ন সংস্থাকে তাদের হাতে থাকা ৪৬টি কয়লা খনি এবং ১৫টি লিগনাইট খনি নিয়ে আগামী কালের মধ্যেই হলফনামা দাখিল করতে বলল কেন্দ্রীয় সরকার। কয়লা ব্লক বণ্টন সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময়ে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করার জন্যই কয়লা মন্ত্রক এই হলফনামা চেয়েছে।
বিভিন্ন সংস্থার হাতে দেওয়া খনি ব্লকগুলি বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে, তা জানতে আগেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল কয়লা মন্ত্রক। সরকারি সূত্রের খবর, এ বার সুপ্রিম কোর্টে তা পেশ করতেই হলফনামা চাওয়া হয়েছে। তার কারণ, সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই তার রায়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, খনি হাতে নিয়ে ফেলে রাখলে তা ফিরিয়ে নিতে হবে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আর্জি জানানো হয়েছে, যে-সব সংস্থা খনি কাজে লাগিয়েছে তাদের যেন তা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। খনিগুলি যে ব্যবহৃত হচ্ছে, তার প্রমাণ আদালতে দাখিল করতেই চাওয়া হয়েছে হলফনামা। কয়লা খনির ক্ষেত্রে ওই ৪৬টি বাদে বাকিগুলি ফের নিলামে কেন্দ্র রাজি। প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সব কয়লা ব্লক বণ্টনই বেআইনি বলে সম্প্রতি রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
কয়লা খনি হাতে থাকা যে-সব সংস্থাকে হলফনামা দিতে হবে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে: জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার, হিন্দালকো, জয়সওয়াল নেকো, সেল, এনটিপিসি, গুজরাত মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্প। এই তালিকায় আছে ৪০টি কয়লা খনি, যেখানে উৎপাদন চালু রয়েছে এবং আরও ৬টি খনি, যেখানে চলতি অর্থবর্ষেই উৎপাদন শুরু হবে। লিগনাইট খনি নিয়ে হলফনামা দিতে হবে গুজরাত মিনারেল ডেভেলপ-মেন্ট কর্প, গুজরাত হেভি কেমিক্যালস, রাজস্থান স্টেট মাইন্স অ্যান্ড মিনারেল্স ইত্যাদি ১৫টি সংস্থাকে। কয়লা মন্ত্রক জানিয়েছে, “সংস্থাগুলি যে-রিপোর্ট দিয়েছে, তা যে সর্বৈব সত্য, সেটা প্রমাণ করতেই হলফনামা চাইছি।”
উল্লেখ্য, অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগি সোমবারই আদালতে জানান, ওই ৪৬টি কয়লা খনির বণ্টন বহাল রাখা জরুরি। দেশ জুড়ে যখন তীব্র বিদ্যুৎ সঙ্কট চলছে, তখন এগুলি বাতিল করলে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলিতে কয়লার জোগান নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy