Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Jute

চট বস্তার ঘাটতি মেটাতে সায় সেই প্লাস্টিকেই

জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী জানান, চটকলগুলি চাহিদা মতো বস্তা দিতে পারছে না। তাই এই পদক্ষেপ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:০৮
Share: Save:

আশঙ্কাই সত্যি হল। খাদ্যশস্য ভরতে চাহিদা মতো চটের বস্তা না-পেয়ে প্লাস্টিকের বস্তা কিনতে সায় দিল কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রক। সংখ্যাও নেহাত কম নয়। সূত্রের খবর, ২০২০-২১ সালের রবি মরসুমের জন্য আপাতত ৩.৫ লক্ষ বেল (এক বেল=৫০০টি চটের বস্তা) অর্থাৎ ১৭.৫০ কোটি প্লাস্টিকের বস্তা কেনা হবে। উল্লেখ্য, একটি অর্থবর্ষের রবি মরসুমের শস্য সরকার কৃষকদের থেকে কিনতে শুরু করে এপ্রিলে। কিন্তু সেগুলি ভরতে চটের বস্তা কেনা শুরু হয় তার আগের বছরের নভেম্বর থেকে।

জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী জানান, চটকলগুলি চাহিদা মতো বস্তা দিতে পারছে না। তাই এই পদক্ষেপ। বস্তা না পেলে রাজ্যগুলি ধান, গম-সহ অন্যান্য খাদ্যশস্য কিনতে পারবে না। বিপদে পড়বেন চাষিরা।

এ বছর রবি মরসুমের শস্য ভরতে সারা দেশ থেকে যে পরিমাণ (১৯.১৩ লক্ষ বেল) বস্তার বরাত এসেছে, চটশিল্প মহল তা সময়ে জোগাতে পারবে না বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল আগেই। ফলে বাড়ছিল প্লাস্টিক বস্তা কেনার চাপ। তার উপরে বস্তা উৎপাদনের খরচ বাড়িয়েছে মূলত বেআইনি মজুতদারির জেরে বাজারে কাঁচা পাটের আকাল ও তার চড়া দাম। গত দু’মাসে চটকলগুলি যত বস্তার বরাত পেয়েছে, ক্ষমতা থাকলেও অনেকেই তা উৎপাদন করতে পারেনি। ফলে ঘাটতি ক্রমশ বেড়েছে।

শেষমেশ...

• চটের বস্তার ঘাটতি মেটাতে কেনা হবে প্লাস্টিকের বস্তা। আপাতত ৩.৫ লক্ষ বেল।

• নাফেড (ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কোঅপেরেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া) কিছু চটের বস্তা আমদানিও করতে পারে।

প্লাস্টিক কেন?

• রবি মরসুমে বস্ত্র মন্ত্রকের হিসেবে চটের বস্তার চাহিদা ছিল ১৯.১৩ লক্ষ বেল। কিন্তু তা মেটাতে পারছে না পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের চটকলগুলি।

• ডিসেম্বরে বরাত ছিল ২.৫৪ লক্ষ বেল। অর্ধেকও দেওয়া যায়নি।

• চাহিদা অনুযায়ী বস্তা না-পেয়ে বহু রাজ্য খাদ্যশস্য কিনতে পারছে না।

• আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে শস্য নষ্ট হওয়ার।

• গণবণ্টন ব্যবস্থায় শস্য পাঠাতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে ফুড কর্পোরেশন।

• ক্রমাগত চাপ আসছে খাদ্য মন্ত্রকের উপরে।

চটকল মালিকদের একাংশের অভিযোগ, কাঁচা পাটের বেআইনি মজুত রুখতে সরকারি উদ্যোগেও খামতি ছিল। তা না-হলে হয়তো প্রায় ১০০০ কোটি টাকার ব্যবসা হারাতে হত না। ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রাঘব গুপ্ত বলছেন সার্বিক পরিস্থিতি যা, তাতে এ বছর জুন পর্যন্ত সব চটকল মিলিয়ে ১৫.৫ লক্ষ বেল পর্যন্ত বস্তা দিতে পারবেন তাঁরা।

সূত্রের খবর, বিভিন্ন তৈলবীজ ভরতে নাফেড তাদের মোট চাহিদার কিছু চট বস্তা আমদানিও করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jute Jute Bag
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE