প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কলকাতা থেকে মুম্বই, এ দেশের রাস্তার খাবারের খ্যাতি কার্যত বিশ্ব জোড়া। সেই তালিকায় রয়েছে কবাব রোল, বড়াপাঁও, চাওমিন, বিরিয়ানি, ভেলপুরি, ভাতের থালি ইত্যাদি। রাস্তার ধারের খাবারের দোকানগুলি আমজনতার দৈনন্দিন জীবনেও বড় ভরসা। তবে সেগুলির মান নিয়ে প্রশ্ন দীর্ঘ দিনের। এ বার বিভিন্ন রাস্তার খাবারের উন্নত গুণমান নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্র। সে জন্য এই সংক্রান্ত কিছু মাপকাঠি মেনে চলতে দোকানগুলিকে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় শিল্পোন্নয়ন ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতর (ডিপিআইআইটি)। দফতরের বার্তা, এই লক্ষ্যে অন্য দেশগুলিতে কী ব্যবস্থা চালু আছে সে কথা জানতে আগ্রহী তারা।
দেশে বিক্রীত বিভিন্ন ধরনের খাবারের মান খতিয়ে দেখার নিয়ন্ত্রক হল এফএসএসএআই। তাদের আয়োজিত সারা বিশ্বের খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সম্মেলনে বৃহস্পতিবার ডিপিআইআইটি-র সচিব রাজেশ কুমার সিংহ রাস্তার ধারের খাবারের দোকানের প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁর মতে, গুণমান রক্ষার জন্য নির্দিষ্ট মাপকাঠি ধার্য করে এই ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। কিন্তু তা খতিয়ে দেখা দরকার। বহু বিদেশিও এ দেশের রাস্তার সেরা খাবার বা সেগুলির বিক্রেতা দোকানগুলি দেখেছেন বা নাম শুনেছেন। রাজেশ বলেন, ‘‘তাই সেই সব ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। কিন্তু কতটা কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এফএসএসআইয়ের মানের চেয়ে যদি ওই দোকানের খাবার নিম্নমানের হয় বা ভুলবশত খারাপ হয়ে যাওয়া খাবার পরিবেশন করা হয়, তা হলে কি বিক্রেতার জেল হওয়া উচিত? এ নিয়ে আত্ম-পর্যালোচনা করতে হবে।’’
ব্যবসায় ছোটখাটো ভুলের জন্য জেলে পাঠানোর মতো ঔপনিবেশিক আইন বদলের জন্য বিল আনছে কেন্দ্র। সেই প্রসঙ্গেই রাস্তার ধারের খাবারের দোকানের প্রসঙ্গ তোলার কথা জানান তিনি। তবে ঠিক কোন খাবারগুলির বিক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হচ্ছে জানাননি।
এ দিন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা তথা বর্তমানে ভারতের জি২০ শেরপা অমিতাভ কান্ত অন্য এক অনুষ্ঠানে খাবারের অপচয় রুখতে বিশ্ব জুড়ে উদ্যোগের পক্ষে সওয়াল করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy