Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

নতুন দৌড়ের শপথ

শুধু ক্যালেন্ডার বদল নয়। বরং আপনার জীবনে সঞ্চয়ের অভ্যেস পাল্টানোর বছর হয়ে থাকুক ২০১৯। প্রতি বার যা ভেবেছেন কিন্তু করেননি, তার সব সুদে-আসলে চুকিয়ে ফেলার শপথ নিন। মনে করালেন অমিতাভ গুহ সরকারশুধু ক্যালেন্ডার বদল নয়। বরং আপনার জীবনে সঞ্চয়ের অভ্যেস পাল্টানোর বছর হয়ে থাকুক ২০১৯। প্রতি বার যা ভেবেছেন কিন্তু করেননি, তার সব সুদে-আসলে চুকিয়ে ফেলার শপথ নিন।

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৪৮
Share: Save:

ভাল-মন্দয় পার হয়ে গেল আরও একটা বছর। এ বছর কেমন যাবে, তা সময়ই বলবে। তবে প্রতি বছরের মতো এ বছরের গোড়াতেও বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনকে আমরা জানিয়েছি নতুন বছরের শুভেচ্ছা। সেটাই রেওয়াজ। দূরের বন্ধুদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর জন্য তো আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছেই। পাশাপাশি, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বর্ষশেষের রাতে দেদার পুড়েছে বাজি। বিশ্বের সমস্ত প্রান্তেই। সব কিছু মিলিয়ে এক ঝটকায় আমরা পা রাখলাম ২০১৯-এ।

অনেক দিন বাদে বর্ষ বিদায় ও বর্ষ বরণের সময়ে ছিল কড়া ঠান্ডার আমেজ। বাজার ভরেছে কেক, নলেন গুড়, জয়নগরের মোয়ায়। ভিড় উপচে পড়েছে চিড়িয়াখানা, মেলা এবং পার্কে। অনেকে একটু বেশি সময় কাটিয়েছেন লেপ-কম্বলের তলায়।

কিন্তু এ বার শীতের ছুটি শেষ। সময় হয়েছে শীতঘুম থেকে উঠে গা ঝাড়া দিয়ে কাজের জগতে ফেরার। নতুন উদ্যমে। লক্ষ্য বেঁধে। নতুন শপথকে সঙ্গী করে।

প্রত্যেক বছরের গোড়ায় আমরা এক গুচ্ছ শপথ নিই। ঠিক করি নতুন বছরে কী কী করব। আর প্রায় ব্যতিক্রমহীন ভাবে তার বড় অংশ পূরণ করা হয়ে ওঠে না। তাই প্রথমেই এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, গত বছরে নেওয়া শপথের মধ্যে কোনগুলি এখনও পূরণ হয়নি। সেগুলিকে ঢুকিয়ে নিতে হবে নতুন বছরের শপথের তালিকায়। সেই তালিকা তৈরি করুন আপনার জীবনযাপনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে। আর আজকের আলোচনার মূল লক্ষ্য, সেই শপথ নেওয়ার বেলায় যেন সঞ্চয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ না পড়ে।

আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ব্যাঙ্ক, বিমা এবং লগ্নি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়। বিগত কয়েক বছরে স্বাভাবিক ভাবেই এর গুরুত্ব বেড়েছে। সে কারণেই বছরের শুরুতে বিষয়টিকে শপথের অংশীদার করা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বাতাসে নতুন বছরের গন্ধ এখনও যথেষ্ট। আলসেমি ঝেড়ে ফেলে চলুন খাতা-পেন নিয়ে বসে পড়ি। চটজলদি লিখে ফেলি নিজের-নিজের শপথের তালিকা।

সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

ব্যাঙ্কে আমাদের প্রায়ই যেতে হয়। তাই অ্যাকাউন্টের পরিস্থিতি জেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে আলাদা সময় খরচের প্রয়োজন নেই। তাই প্রথমেই দেখা যাক এই বিষয়টি—

• জেনে নিন, কেওয়াইসি সংক্রান্ত সব কাগজ জমা আছে কি না। না থাকলে, অবিলম্বে তা জমা করুন।

• চেক বই পরীক্ষা করে দেখুন, হাতে যথেষ্ট চেকের পাতা আছে কি না। না থাকলে নতুন চেক বইয়ের জন্য আবেদন করুন।

• পাসবইয়ে গত বছরের এপ্রিল থেকে শুরু করে সব তথ্য তোলা না হয়ে থাকলে, অবিলম্বে বছরের শেষ দিন পর্যন্ত লেনদেন সংক্রান্ত সব তথ্য লিখিয়ে নিন। নথি হিসেবে তা গুরুত্বপূর্ণ। ছোটখাটো ঋণ নিতে গেলেও অনেক সময়ে পাসবইয়ের ফোটোকপি কিংবা ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হয়। তাই তা ‘আপডেট’ থাকা সব সময়ই ভাল।

• বহু দিন অ্যাকাউন্টে কোনও লেনদেন না হয়ে থাকলে, চেক কেটে অথবা এটিএম কার্ড ব্যবহার করে কিছু টাকা তোলার ব্যবস্থা করুন। যাতে অ্যাকাউন্টটি অকার্যকর বা ‘ইনঅপারেটিভ’ না হয়ে পড়ে।

• অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা থাকলে, তা বেশি সুদের প্রকল্পে স্থানান্তর করুন। কারণ সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদ কিন্তু কম।

• ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড অনেক দিন পরিবর্তন করা না হয়ে থাকলে, নতুন বছরের গোড়াতেই তা করুন।

• অ্যাকাউন্টে নমিনির নাম নথিভুক্ত করা না হয়ে থাকলে, অবিলম্বে করুন।

• ঠিকানার পরিবর্তন হয়ে থাকলে, তা নিজের ব্যাঙ্কে নথিবদ্ধ করান। একই সঙ্গে নথিবদ্ধ করান নিজের মোবাইল নম্বর এবং ই-মেল আইডি। এই ব্যাপারটি কিন্তু বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

• পাস বই থেকে দেখে নিন, বছরে চার বার সুদ জমা হচ্ছে কি না।

• প্রয়োজনের অতিরিক্ত সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে, অবশ্যই তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন।

ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট

• ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট সকলের থাকে, এমন নয়। তবে না থাকলে প্রয়োজন সাপেক্ষে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন। ৩১ মার্চের পরে শেয়ার বাজারে নথিবদ্ধ সংস্থার শেয়ার শুধু মাত্র ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই হস্তান্তর করা যাবে। নথিবদ্ধ নয় এমন পাবলিক কোম্পানির শেয়ারও রাখতে হবে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টেই।

• ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে আবশ্যিক ভাবে নমিনির নাম নথিবদ্ধ করাতে হবে। সেই সঙ্গে সুরক্ষার স্বার্থে নথিবদ্ধ করিয়ে নিতে হবে নিজের মোবাইল নম্বর এবং ই-মেল আইডি।

• ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট নিয়মিত সংগ্রহ করুন এবং পরীক্ষা করে দেখে নিন। বুঝতে পারবেন যে, আপনার কেনা সমস্ত শেয়ার, বন্ড সেই অ্যাকাউন্টে ঠিকঠাক দেখাচ্ছে কি না। ই-মেল আইডি নথিবদ্ধ থাকলে প্রতি মাসে সেখানে স্টেটমেন্ট আসার কথা।

• অ্যাকাউন্টের বার্ষিক ফি সময় মতো জমা করুন, যাতে অ্যাকাউন্টটি সব সময়ে চালু থাকে। অ্যাকাউন্ট রানিং ফর্মও জমা করুন ঠিক সময়ে।

• ঠিকানা এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পরিবর্তন হয়ে থাকলে, তা অবিলম্বে নথিবদ্ধ করানোর ব্যবস্থা করুন।

• বহু দিন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা না হয়ে থাকলে, নতুন বছরে অবশ্যই তা একবার অন্তত করে নিন।

• শেয়ার ডেলিভারি ফর্ম ফুরিয়ে এসে থাকলে, আবেদন করে নতুন বই আনানোর ব্যবস্থা করুন।

• কোনও শেয়ার কিংবা বন্ড ডিম্যাট করা না হয়ে থাকলে, নতুন বছরে তা করিয়ে নিতে একেবারেই ভুলবেন না।

• তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকলে তা বন্ধ করুন।

শেয়ার

• কাগজের (সার্টিফিকেট) আকারে শেয়ার ধরা থাকলে, তা দ্রুত ডিম্যাট করিয়ে নিন। ৩১ মার্চের পরে কাগজের শেয়ার হস্তান্তর করা যাবে না।

• ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের ডিভিডেন্ড বণ্টন মোটামুটি শেষ হয়েছে গত নভেম্বরে। নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখুন, প্রাপ্য সব ডিভিডেন্ড অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না।

• পর পর সাত বছর কোনও শেয়ারের উপর ঘোষিত ডিভিডেন্ড যদি সংগ্রহ অথবা ভাঙানো না হয়, তবে শুধু ডিভিডেন্ডই নয়, মূল শেয়ারও চলে যাবে সরকারের ঘরে। সে কারণেই বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

• নিজের শেয়ার পোর্টফোলিও পর্যালোচনা করে দেখুন, কোন শেয়ার কেমন ফল করছে। যে সমস্ত শেয়ার বছরের পর বছর একই জায়গায় পড়ে রয়েছে, তার থেকে বেরিয়ে তুলনামূলক ভাল শেয়ারে সেই তহবিল লগ্নি করা যেতে পারে।

মেয়াদি আমানত

• ব্যাঙ্ক অথবা কোনও কোম্পানি ডিপোজিট থাকলে এক বার দেখে নিন যে, তার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে কি না। অথবা মেয়াদ শেষ হতে আর কত দিন বাকি। মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়ে থাকলে, তার নবীকরণের ব্যবস্থা করুন।

• ব্যাঙ্কের পাসবইয়ে দেখে নিন ফিক্সড ডিপোজিটগুলি থেকে নিয়মিত সুদ আসছে কি না (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

• গত এক বছরে অনেকটাই সুদ বেড়েছে ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য এফডি-তে। আগে যদি কম সুদে কোনও এফডি করানো থাকে, তবে দেখে নিন তা ভেঙে বর্তমানের উঁচু সুদে নতুন এফডি করা লাভজনক হচ্ছে কি না।

• যুগ্ম নামে এফডি করা না থাকলে, তাতে নমিনেশনের ব্যবস্থা করুন।

• বর্তমানে অনেক প্রকল্পে বেশ ভাল সুদ মিলছে। সুরক্ষার দিক দেখে নিয়ে, লগ্নি করতে পারেন বড় মেয়াদে।

মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি

• পর্যালোচনা করে দেখুন, আপনার লগ্নি করা ফান্ডগুলি গত এক বছরে কী রকম রিটার্ন দিয়েছে। যে সমস্ত ফান্ড টানা তিন বছর একই ধরনের অন্যান্য ফান্ডের তুলনায় খারাপ ফল করেছে, তা থেকে লগ্নি অন্য ভাল প্রকল্পে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন।

• বেশি সংখ্যক প্রকল্পে লগ্নি থাকলে, তা গুটিয়ে কয়েকটি ভাল প্রকল্পে সীমাবদ্ধ রাখলে ভাল হয়। বেশি সংখ্যায় লগ্নির থেকে কম সংখ্যার শক্তিশালী লগ্নি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

• ভবিষ্যতে বড় খরচের পরিকল্পনা থাকলে (বাড়ি, গাড়ি কেনা অথবা সন্তানের উচ্চশিক্ষা) বছরের গোড়াতেই এক বা একাধিক এসআইপি অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। কিন্তু আগে অবশ্যই দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট ফান্ডের অতীত পারফরম্যান্স।

• অতীতে যে সব প্রকল্পে লগ্নি করা হয়েছে, দেখে নিন তার সবক’টিতে কেওয়াইসি সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা করা আছে কি না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নথিবদ্ধ আছে কি না, দেখে নিন তা-ও। না থাকলে ইউনিট বিক্রি করতে অসুবিধা হতে পারে।

• কর সাশ্রয়ের লক্ষ্যে লগ্নি করা যেতে পারে ফান্ডের ইএলএসএস প্রকল্পে। হাতে এখনও তিন মাস সময় আছে। এখানেও খোলা যেতে পারে এসআইপি অ্যাকাউন্ট।

সোনায় লগ্নি

• যাঁদের ভবিষ্যতে সোনার প্রয়োজন হবে, তাঁরা বর্তমানে ধাতব সোনায় লগ্নি না করে সরকারি গোল্ড বন্ড কেনার কথা ভাবতে পারেন। এই বন্ডের মেয়াদ ৮ বছর। মেয়াদ শেষে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে প্রকৃত সোনা কেনা যেতে পারে। তত দিন পর্যন্ত লগ্নির উপরে সুদ পাওয়া যাবে ২.৫% হারে। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতি মাসেই কয়েক দিনের জন্য বাজারে ছাড়া হচ্ছে গোল্ড বন্ড।

• অতীতে যাঁরা অপেক্ষাকৃত কম দামে সোনায় লগ্নি করেছেন, তাঁরা বর্তমানের চড়া বাজারে তার একাংশ বিক্রি করে মুনাফা ঘরে তোলার কথা ভাবতে পারেন। বাকি অংশ ধরে রাখুন ভবিষ্যতে আরও বাড়ার আশায়।

• ঘরে অথবা লকারে সোনা থাকলে, বছরের প্রথমে এক বার মিলিয়ে নিতে পারেন, সব ঠিকঠাক আছে কি না।

ব্যাঙ্ক লকার

• দেখে নিন, লকারের ভাড়া নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে কি না। বকেয়া থাকলে তা দ্রুত মিটিয়ে দিন।

• বছরের গোড়ায় লকারে রাখা সব জিনিসের তালিকা বানিয়ে রাখুন। এতে ভুলে যাওয়ার হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যায়। কথায় কথায় তো আর লকারে যাওয়া যায় না।

• লকার সব সময়ে রাখুন যুগ্ম নামে। তার চাবি কোথায় রাখা হচ্ছে, তা অন্য জনকে জানিয়ে রাখুন।

জীবন ও স্বাস্থ্য বিমা

• বছরের গোড়াতেই বিবেচনা করে দেখুন, প্রয়োজন মতো জীবন বিমা করানো আছে কি না। না থাকলে নতুন পলিসি নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন।

• পাশাপাশি এটাও দেখে নিন, যে স্বাস্থ্য বিমা করানো আছে, তা র কভারেজ পরিবারের জন্য যথেষ্ট কি না। নইলে বিমার অঙ্ক বাড়ানোর কথা ভাবতে হবে। প্রিমিয়ামের উপরে আছে কর ছাড়ের সুবিধা।

• পরীক্ষা করে দেখে নিন, সব রকম বিমার প্রিমিয়াম সময় মতো দেওয়া আছে কি না। ঠিক সময়ে স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম জমা করা না হলে পলিসি বাতিল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার জীবন বিমার ক্ষেত্রে গুনতে হয় জরিমানা। প্রিমিয়াম বাকি পড়লে সংশ্লিষ্ট বিমার সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

সম্পত্তি

• দেখে নিন খাজনা, পুরকর ইত্যাদি বকেয়া রয়েছে কি না। থাকলে মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

• কোনও সম্পত্তি যদি মিউটেশন করা না হয়ে থাকে, তবে অবিলম্বে তা করার ব্যবস্থা করুন।

• দেখে নিন, সম্পত্তির দলিল জায়গা মতো যত্নের সঙ্গে রাখা রয়েছে কি না। মূল কপি লকার অথবা অন্য সুরক্ষিত জায়গায় রাখা যেতে পারে। একটি ফোটোকপি হাতের কাছে রাখুন।

• ঋণ নিয়ে সম্পত্তি কেনা হলে, দেখে নিন সব মাসিক কিস্তি (ইএমআই) সময়ে দেওয়া হচ্ছে কি না।

• প্রয়োজনে সম্পত্তির বিমা করান।

• ব্যঙ্ক ঋণ শোধ হয়ে গিয়ে থাকলে সম্পত্তির কাগজ ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

• সম্পত্তি ভাড়া দেওয়া থাকলে প্রতি বার মেয়াদ শেষে ভাড়ার চুক্তি নবীকরণ করাতে হবে।

• সম্পত্তির দলিল কোথায় রাখা রয়েছে, তা নিকটতম আত্মীয়কে জানিয়ে রাখতে হবে।

উইল

• করব-করব করেও এ কাজ প্রায়ই দীর্ঘ দিন পড়ে থাকে। তা কিন্তু কাজের কথা নয়। তাই উইলের প্রয়োজন মাথায় উঁকি দিলে কোমর বেঁধে নেমে পড়ুন। একটু উদ্যোগী হয়ে করেই ফেলুন আপনার ইচ্ছাপত্র। ‘কাল করব’ বলে ফেলে রাখবেন না।

রেকর্ড কিপিং

• এই সমস্ত লগ্নি ও সম্পত্তির বিষয়গুলি এক সঙ্গে এক জায়গায় লিপিবদ্ধ থাকা ভাল। যাতে সময় মতো এক সঙ্গে হাতের কাছে পাওয়া যায় সব কিছু। তাই ব্যাঙ্ক, বিনিয়োগ, বিমা ইত্যাদি সংক্রান্ত সব তথ্য একটি ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করুন।

• নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষকে জানিয়ে রাখুন এই ডায়েরির কথা।

• সম্পত্তির দলিল, লকারের চাবি, উইল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি কোথায় সযত্নে রক্ষিত আছে, তা-ও লিখে রাখতে হবে ওই ডায়েরিতে।

• তিন মাস অন্তর পরিবর্তিত তথ্য লিখতে হবে সেখানে।

• সাঙ্কেতিক ভাষায় লিখে রাখতে পারেন বিভিন্ন পাসওয়ার্ডও।

লেখক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ

(মতামত ব্যক্তিগত)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Savings Tips Bank Account
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE