প্রতীকী ছবি।
প্রথমে শুল্ক-যুদ্ধ। তার পরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এই দুই ধাক্কায় আমেরিকা ও চিনের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। বিশেষ করে শিল্প ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে। ইতিমধ্যে টিকটক, উইচ্যাটের মতো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। হুয়েই, জ়েডটিই-র মতো টেলিকম সংস্থার যন্ত্রাংশের ব্যবহারও বন্ধ করছে তারা। এই অবস্থায় আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থাগুলির ব্যাপারেও পাল্টা পদক্ষেপ করতে চলেছে চিন।
চিনের বিভিন্ন প্রদেশের প্রশাসন সূত্রের খবর, সরকারি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার বহু যন্ত্রাংশই তারা নেয় মার্কিন সংস্থাগুলির থেকে। এর মধ্যে রয়েছে ইনটেল, মাইক্রোসফট, ওরাকল, আইবিএম। দেশীয় সংস্থাগুলির সাহায্যে সেই প্রযুক্তিই এ বার প্রতিস্থাপন করতে চাইছে তারা। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি প্রদেশের প্রশাসন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা চায়না টেলিকম ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমেরিকার সংস্থাগুলি কাছ থেকে আর যন্ত্রাংশ বা প্রযুক্তি কেনা হবে না। বরাত দেওয়া হবে দেশীয় সংস্থাগুলিকে। সে দেশের শিল্প ক্ষেত্রের বক্তব্য, প্রশাসন যদি দেশীয় সংস্থাগুলিকে বরাত দেয় তা হলে সংস্থাগুলিতে আরও বেশি বিনিয়োগও আসবে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে শেয়ার দরেও।
ওয়াকিবহাল মহলের আরও বক্তব্য, শুধু যে আমেরিকাকে পাল্টা চাপে ফেলার জন্য চিন এই ধরনের পদক্ষেপ করছে, তা নয়। হুয়েই, জ়েডটিই-র মতো সংস্থাগুলি যাতে মার্কিন যন্ত্রাংশ ব্যবহার না-করতে পারে, তার ব্যবস্থা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এখন যদি চিনা প্রশাসনকেও প্রযুক্তি সরবরাহের ব্যাপারে ইনটেল, মাইক্রোসফটের উপরে তারা নিষেধাজ্ঞা চাপায়, তা হলে আরও চাপে পড়বে চিন। সে কারণে কৌশলগত ভাবেই প্রযুক্তি প্রতিস্থাপনের এই সিদ্ধান্ত।
তবে চিনের বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে তাদের প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতি খতিয়ে দেখার ব্যাপারে সহমত হয়েছে দু’পক্ষই। ফলে বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার সময়ে সেই দিকেই এখন তাকিয়ে সারা পৃথিবীর শিল্প ও বাণিজ্য মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy